টার্নিং পয়েন্ট:
স্মৃতি চারণ করে ওই যুবক বলেন যে, মাত্র ১৫৫ দিন আগেই তাঁর ওজন ছিল ১১২ কিলোগ্রাম। তাঁর রোজকার জীবনযাপনের অঙ্গ ছিল ফাস্ট ফুড, ভাজাভুজি-স্ন্যাক্স, কার্বোনেটেড পানীয়। আর তিনি শারীরিক কসরতও করতেন না। ধীরে ধীরে ক্ষতিকর প্রভাব বুঝতে পারেন এবং নিজের জীবনযাত্রা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন। তাই শূন্য থেকে শুরু করেন এবং জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত করেন।
advertisement
আমেরিকায় দারিদ্র্যের দিন শুরু! ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য আরও এক ধাক্কা! নতুন রিপোর্টে ব্যাপক চাঞ্চল্য!
জিম নয়, বরং নিয়মানুবর্তিতার উপরেই ভরসা:
প্রথমেই অবশ্য তিনি জিম সেশন অথবা ভারি এক্সারসাইজ শুরু করে দেননি। বরং আত্মনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিষয়টির সূচনা করেন। এরপর প্রসেসড এবং তৈলাক্ত খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য জোর দেন। ব্যালেন্সড, বাড়িতে রান্না করা খাবারের উপরেই মনোনিবেশ করেন। পাতে বেশি করে রাখা হয় শাকসবজি, লিন প্রোটিন এবং পর্যাপ্ত হাইড্রেশন। এরপর খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করার দিকে নজর দেন ওই যুবক। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত খাওয়াদাওয়া বাদ দিয়ে দেন। খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত হাঁটাহাঁটি শুরু করেন তিনি। সাধারণ এবং নিয়ন্ত্রিত কায়দায় শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকতে শুরু করেন।
ধারাবাহিকতা বজায় রাখা:
এই ছোট ছোট বিষয়গুলি করার সঙ্গে সঙ্গে ওই যুবক দেখেন যে, পরিবর্তন এসেছে। তাঁর দেহ সুগঠিত হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে তাঁর এনার্জি এবং আত্মবিশ্বাসও বাড়তে থাকে। কয়েক মাস ধরে এভাবে চলার পর ওই যুবক জিম গিয়ে ওয়ার্কআউট শুরু করেন। এতে তাঁর পেশি সুগঠিত হয়। ততদিনে অবশ্য তাঁর জীবনযাত্রায় ভাল অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
ইচ্ছাশক্তির জোর:
বর্তমানে ওই যুবকের ওজন ৭৫ কিলোগ্রাম। মাত্র ১৫৫ দিনে তিনি ঝরিয়ে ফেলেছেন মোট ৩৭ কেজি ওজন। তবে এর জন্য অতিরিক্ত কঠোর ডায়েট, অতিরিক্ত এক্সারসাইজ তাঁকে করতে হয়নি। তাঁর ফিটনেস সিক্রেট ভীষণই সাদামাটা ছিল। তবে তা বেশ শক্তিশালী ছিল। পরিষ্কার খাওয়াদাওয়া, রোজকার নিয়মানুবর্তিতা এবং অটল অধ্যবসায় তাঁকে ওজন ঝরাতে সহায়তা করেছে।
যুবকের বার্তা:
ওই যুবকের মতে, কোনও কিছু শুরু করার জন্য সঠিক মুহূর্ত হয় না। যা কিছু সহজলভ্য এবং ধারাবাহিক, তা দিয়েই শুরু করা যেতে পারে। তবে হাল না ছাড়ার মনোভাবও কিন্তু এক্ষেত্রে বজায় রাখা জরুরি।