গ্রামের এক পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে কংসাবতী নদী। তার পাড়েই রয়েছে একাধিক প্রাচীন মন্দির যা বিভিন্ন প্রাচীন রীতির আদলে নির্মিত। কোথাও রয়েছে টেরাকোটার ছোঁয়া, কোনওটি আবার বেশ কয়েকশো বছর পুরানো। অনতিদূরে জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ, এখনও রয়েছে কয়েকটি মন্দির, রাসমঞ্চ।
মেদিনীপুর শহর থেকে সামান্য দূরেই অবস্থিত পাথরা গ্রাম। ছোট্ট এই গ্রামে দেউল, রত্ন, দালান, প্রায় সমস্ত রীতিরই মন্দির দেখা যায়। গ্রামে প্রবেশ করলে লক্ষ্য করতে পারবেন একাধিক মন্দির, সংখ্যা প্রায় তিরিশেরও বেশি। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কংসাবতী নদী। তার পাশেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মন্দির। কোনও মন্দির টেরাকোটা শিল্প রীতিতে নির্মিত, কোনওটি পঞ্চরত্ন মন্দির, আবার কোনওটি দেউল রীতির আদলে নির্মিত। এলাকার ইতিহাস গবেষক ইয়াসিন পাঠান এই মন্দিরগুলি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সরকারিভাবে এই মন্দির সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
advertisement
প্রসঙ্গত এলাকার জমিদার হিসেবে পরিচিত ছিল মজুমদার পরিবার। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় এই আলাকায় একাধিক মন্দির গড়ে ওঠে। প্রতিদিনের কাজের চাপ , শহরের কোলাহল, দৈনন্দিন ব্যস্ততা ছেড়ে গ্রামীণ পরিবেশে ইতিহাসের কোলে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে চলে আসুন পাথরা গ্রামে। বাস, ট্রেন কিংবা চার-চাকার গাড়িতে এখানে পৌঁছনো যায়। বাসে এলে নামতে হবে মেদিনীপুর বাস স্ট্যান্ডে, সেখান থেকে টোটোয় চেপে পৌঁছে যাবেন এই গ্রামে। ট্রেনে এলে নামতে হবে মেদিনীপুর স্টেশনে।
গুগল লোকেশন: https://maps.app.goo.gl/M3FbwyTkDQvc1dw29
রঞ্জন চন্দ