চাঁদনি জলটুঙ্গি নির্মাণ করেছিলেন বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ। তিনি তাঁর স্ত্রী রাজরাজেশ্বরী দেবীর জন্য এই স্থাপত্যটি নির্মাণ করেন। রাজস্থানের জলাশয়ের মাঝে চাতুরি বা ‘হাওয়া মহল’-এর আদলে তৈরি এই জলটুঙ্গি।
চাঁদনি জলটুঙ্গি তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব, স্থাপত্যশৈলী এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পূর্ব বর্ধমানের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। এটি ইতিহাসপ্রেমী ও প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকদের জন্য এক অনন্য গন্তব্য। কলকাতা, বাঁকুড়া-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে বহু পর্যটক ঘুরতে আসেন। চাঁদনি জলটুঙ্গির কেয়ার টেকার সুমন মেটে বলেন, “এখানে এলে পর্যটকদের ভাল লাগবে। থাকা খাওয়ার ভাল ব্যবস্থা আছে। এখানে থেকে অনেক জায়গায় ঘুরতে যাওয়া যায়, যেমন গুসকরা এয়ারফিল্ড, ডোকরা গ্রাম, কালিকাপুর রাজবাড়ি, ভালকিমাচান।”
advertisement
এই জায়গায় পর্যটকদের জন্য থাকা খাওয়ার ভাল ব্যবস্থা রয়েছে। এসি, নন এসি সব ধরনের রুম পাওয়া যায়। এছাড়াও প্যাকেজ সিস্টেমে খাওয়া দাওয়া করার ভাল ব্যবস্থা রয়েছে। নন এসি রুম ভাড়া দু’হাজার টাকা এবং এসি রুম আড়াই হাজার। এছাড়া ৭০০ টাকার বিনিময়ে একজনের জন্য থাকবে চারবেলা খাবার। তবে সাধারণের জন্য এই জায়গা খোলা থাকে সকাল সাতটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত। কলকাতা থেকে ১৩৬ কিমি দূরেই এই জায়গা। পূর্ব বর্ধমানের গুসকরা শহর থেকে সহজেই এই জায়গায় আসা সম্ভব। রুম বুক করার জন্য যোগাযোগ করতে হবে +919748411871 নম্বরে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী