কোকো পাইডার আইলাইনার: কালো আইলাইনার তো সবাই ব্যবহার করে। কোকো পাউডারের সাহায্যে ব্রাউন আইলাইনারে খুলে যাবে নতুন দিগন্ত। একটা ছোট বাটিতে এক চামচ কোকো পাউডার, কয়েক ফোঁটা জল বা গোলাপজল মিশিয়ে জেলের মতো তৈরি করতে হবে। টেক্সচারটা যেন পুরু থাকে। এবার চোখের উপর এবং নিচের ল্যাশলাইনে সেটা লাগাতে হবে সুন্দর করে। দেখতে অপূর্ব লাগবে।
advertisement
আমন্ড আইলাইনার: প্রত্যেক রান্নাঘরের বয়ামে আমন্ড থাকবেই। স্ন্যাকসের খাবার সময় কয়েকটা বাঁচিয়ে তৈরি করা যায় আমন্ড আইলাইনার। এটা আইলাইনার তৈরির প্রাচীন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি। এটা নিয়মিত লাগালে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। চিমটি দিয়ে মোমবাতির শিখায় কিছুক্ষণ আমন্ডটা ধরে রাখলেই সেটা কালো হয়ে যাবে। এবার মাখনের ছুরি দিয়ে সেটাকে তুলে তাতে সামান্য বাদাম তেল মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমন্ড আইলাইনার।
আরও পড়ুন : বেড়ে ওঠার বয়সে বাচ্চাদের ডায়েটে দুধ রাখতেই হবে কেন, জানুন এর উপকারিতা
বিটরুট আইলাইনার: যাঁরা রঙ নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এটা আদর্শ। প্রথমে বিটরুট পিষে রস বের করতে হবে। এরপর তাতে দুচামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে তৈরি করতে হবে মসৃণ পেস্ট। এবার ব্রাশের সাহায্যে সেটা লাগাতে হবে চোখে।
অ্যাকটিভেটেড চারকোল আইলাইনার: কালো আইলাইনারে ব্যবহৃত মৌলিক উপাদান। জল বা যে কোনও ক্যারিয়ার অয়েল যেমন নারকেল, বাদাম বা জোজোবা মিশিয়ে তৈরি করা হয়। তাড়াতাড়ি তৈরি করতে চাইলে অ্যাকটিভেটেড চারকোলের সঙ্গে ডিস্টলড ওয়াটার ব্যবহার করা যায়। ছোট বাটিতে দু-টুকরো অ্যাকটিভেটেড চারকোল রেখে তাতে কয়েক ফোঁটা ডিস্টল ওয়াটার মিশিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। তাহলেই আইলাইনার তৈরি হয়ে যাবে।
কুমকুম আইলাইনার: লাল আইলাইনারের একটা ক্লাসি লুক আছে। ত্বকের টোন বা রঙ যাই হোক না কেন এটা তাৎক্ষণিক ভাবে মুখকে উজ্জ্বল করে তোলে। একটা ছোট বাটিতে দু চামচ কুমকুম পাউডার এবং কয়েক ফোঁটা জল মেশালেই তৈরি হয়ে যাবে কুমকুম আইলাইনার।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)