পাশাপাশি বন ও বন্য জীবজন্তু সহ পর্যটকদের সুরক্ষায় বন দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীদের রয়েছে কড়া নজরদারিও। ব্লক ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকে অবস্থিত এই গভীর গড় জঙ্গল৷ ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে জয়দেব ঘাট যাওয়ার প্রধান রাস্তার পাশেই রয়েছে এই জঙ্গলে প্রবেশের মূল রাস্তা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
প্রধান রাস্তা থেকে ছ’ কিলোমিটার গভীর জঙ্গলের ভিতরে প্রথমেই দর্শন হবে ঐতিহ্যবাহী শ্যামরুপা দুর্গা মন্দিরের। এই মন্দিরের অদূরে রয়েছে আরেকটি পর্যটন স্থান দেউল। বনদফতরের অধীনে থাকা এলাকায় চাইলেও উন্নয়ন করা কঠিন ছিল। পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের উদ্যোগে বিভিন্ন দফতরের অনুমোদন মেলায় চলতি বছরে তৈরি হয়েছে রাস্তা। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে দু’টি রাস্তা তৈরি হয়েছে। মূল রাস্তা থেকে একটি রাস্তা এসেছে শ্যামরূপা মন্দিরে অন্য রাস্তাটি মন্দির থেকে দেউল পর্যন্ত। মোট ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পেভার ব্লক দিয়ে রাস্তা তৈরি হয়েছে।
এক সময় লাল মাটির বেহাল রাস্তা থাকায় পর্যটকদের আনাগোনা কম ছিল। ফলে বন ও বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা নিয়ে বিশেষ চাপ ছিল না বন দফতরের। কিন্তু রাস্তা পাকা হওয়ায় ইতিমধ্যেই পর্যটক তথা ভ্রমণপিপাসু মানুষের আনাগোনা ব্যাপক হরে বেড়ে গিয়েছে। যার কারণে বন ও বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার বিষয়ে বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে বর্ধমান বন দফতর। বন দফতরের দাবি, পাকা রাস্তা হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গড় জঙ্গলে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি জঙ্গলে বন্য জীবজন্তুর সংখ্যাও কয়েকগুন বেড়েছে। তাই গড় জঙ্গলে বেড়াতে এলে মানতে হবে বেশ কিছু বিধি নিষেধ।
আরও পড়ুন Sweet Potol: হুগলির টক ঝাল মিষ্টি পটলের স্বাদে মজেছে শিল্পাঞ্চলবাসী, একবার চেখে দেখবেন নাকি আপনিও?
কী কী বিধিনিষেধ আরোপ করল বনদফতর জেনে নিন।প্রথমেই বলা হয়েছে জঙ্গলের রাস্তায় ধীরে গাড়ি চালান।
গাড়ির হর্ন অযথা ব্যবহার করবেন না।জঙ্গলের ভেতরে গাড়ি পার্কিং ও পিকনিক করা নিষিদ্ধ। জঙ্গলে ধূমপান করে জলন্ত বিড়ি – সিগারেট ফেলবেন না। জঙ্গলের পাতায় আগুন ধরাবেন না। এছাড়াও একাধিক বিধিনিষেধ সাইনবোর্ডে দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ওই জঙ্গলে নেকড়ে, শেয়াল, হরিণ, বন শুয়োর, গন্ধগোকুল ও বিষধর সাপখোপ সহ রয়েছে প্রচুর ময়ূর।
দীপিকা সরকার





