রোজনামচার জীবনে নিত্য যাওয়া আসার পথে এভাবেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব, যা হয়ে যায় পরিবারের মতোই। ওই ট্রেনের কামরায় যাতায়াত করা এমনই নতুন প্রজন্মের সহযাত্রীদের মধ্যে প্রথম বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন শুভেন্দু। তাই বাকি সহযাত্রী বন্ধুরা সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন ট্রেনেই তাকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ানোর। যেমন ভাবনা তেমন কাজ, সহযাত্রী বন্ধুকে সারপ্রাইজ দিতে মাছ মাংস মিষ্টি সহযোগে আইবুড়ো ভাতের মেনু তৈরি করে নিয়ে আসা হয় ট্রেনে। সহযাত্রী বন্ধু শুভেন্দু ট্রেন ধরার আগেই, সাজিয়ে ফেলা হয়েছিল গোটা ট্রেনের কামরা। হবু পাত্র ট্রেনের কামরায় উঠতেই উল্লাসে মেতে ওঠেন সহযাত্রীরা। এমন কাণ্ড দেখে হতবাক হয়ে যান শুভেন্দুও।
advertisement
কর্মস্থলে যাওয়ার পোশাক খুলিয়ে তাকে পরানো হয় পাঞ্জাবি, মাথায় দেওয়া হয় টোপরও। এরপর ট্রেনের সিটে বসেই মাটির থালায় রাখা একের পর এক মেনু চেটেপুটে খেয়ে বিয়ের প্রথম আইবুড়ো ভাত খাওয়া সারেন রেলে কর্মরত বছর ২৭-এর পাত্র শুভেন্দু চক্রবর্তী। এর মধ্যে দিয়েই অনির্বাণ বিশ্বাস, দুষ্টু, সব্যসাচী চক্রবর্তী, কানাইদা-সহ কুড়ি জন সহযাত্রীর এই অভিনব উদ্যোগ সফল হয়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল চলন্ত ট্রেনে এই আইবুড়ো ভাত দেওয়ার ছবি।
আরও পড়ুন : ছিল ট্রেনের কামরা, হল সুদৃশ্য রেস্তরাঁ! নদীর ঠান্ডা বাতাসে কোথায় পাবেন এই লোভনীয় অভিজ্ঞতা? জানুন
কী ছিল না সেই আইবুড়ো ভাতের মেনুতে! সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক, , চিংড়ি মাছের মালাইকারি, পমফ্রেট মাছ, মাটন কষা, চাটনি, পাপড়, মিষ্টি ও পান-সহ এলাহি আয়োজন। চলন্ত ট্রেনের কামরায় সহযাত্রীরাও পাত্রকে জানালেন শুভেচ্ছা, দিলেন উপহার। সহযাত্রীদের কাছ থেকে এরকম একটা সারপ্রাইজ পেয়ে আপ্লুত শুভেন্দু নিজেও। নতুন বছরের ২৪ জানুয়ারি বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শুভেন্দু, ট্রেনের সহযাত্রীদেরও রয়েছে নেমন্তন্ন।