সবুজ ফুলকপি
এই ফুলকপিটি 'ব্রোকোফ্লাওয়ার' হিসাবেও পরিচিত। কারণ এটি ব্রকোলি এবং ফুলকপির মধ্যে একটি ক্রসবিড। সাদা ফুলকপির চেয়ে এটি মিষ্টি স্বাদের হয়। এই ফুলকপিটি অন্যান্য ধরনের চেয়ে ছোটো আকারের এবং সবুজ রঙের হয়। বাণিজ্যিকভাবে এই ফুলকপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিক থেকেই সুলভ।
কমলা ফুলকপি
advertisement
এই ফুলকপি শেডার ফুলকপি নামেও পরিচিত, এটি একটি হাইব্রিডাইজড ধরনের যা উজ্জ্বল কমলা রঙের হয়। ফুলকপিটিতে বিটা ক্যারোটিন নামে পরিচিত কমলা রঙ বেশি রয়েছে। এই ফুলকপি রান্না করার সময় এটির রঙ আরও উজ্জ্বল হয়।
আরও পড়ুন: কমছে যৌন চাহিদা? নিয়মিত খান এই ৫টি খাবার, হাতেনাতে ফল পান বেডরুমে!
বেগুনি ফুলকপি
এক্ষেত্রে সবজিটে বেগুনী রঙের সঙ্গে নীলাভ-সবুজ পাতা দিয়ে ঘেরা থাকে। সাদা ফুলকপির তুলনায়, বেগুনি ফুলকপি মাথা নরম এবং হালকা স্বাদের হয়। এই ফুলকপি অতি-স্বাস্থ্যকর এবং ভিটামিন ও খনিজে পূর্ণ। এই ধরনের ফুলকপিতে জলে দ্রবণীয় রঞ্জক থাকে যা রেড ওয়াইন এবং বাঁধাকপিতেও পাওয়া যায়।
সাদা ফুলকপি
এটি সবচেয়ে পরিচিত ধরনের ফুলকপি এবং ভারতীয় বাজারে সর্বত্র দেখতে পাওয়া যায়। হোয়াইট ক্লাউড এবং আর্লি হোয়াইট হাইব্রিড সহ সাদা ফুলকপির অসংখ্য প্রকার রয়েছে কিন্তু সমস্ত ক্ষেত্রেই সাদা কুঁড়ি পাতায় ঘেরা থাকে। স্নোবল হল আরেকটি সাদা ফুলকপি যা ১৮৮৮ সালে উত্তর আমেরিকায় প্রথম পাওয়া গিয়েছিল। সাদা ফুলকপির অন্যান্য ধরনের মধ্যে রয়েছে স্নো কিং, হোয়াইট করোনা এবং স্নো ক্রো।
আরও পড়ুন: ঘুমের ভুল ভঙ্গী বা অপর্যাপ্ত ঘুম হতে পারে ডিমেনশিয়ার কারণ...
ফুলকপির পুষ্টিগুণ
এটি একটি কম-ক্যালোরির সবজি যাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন কে, সি এবং বি৬ সহ বেশ কিছু খনিজ পদার্থ রয়েছে। শুনতে অবাক লাগলেও এক কাপ ফুলকপিতে মাত্র ২৫ ক্যালোরি রয়েছে। শুধুমাত্র এই সবজিতে উপস্থিত ভিটামিন সি ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)-এর নির্ধারিত প্রতিদিনের খাবারের চাহিদার ৭৭ শতাংশ পূরণ করতে পারে। এটি আমাদের দৈনন্দিন ফাইবারের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে এবং এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। হার্টের স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে হজমের উন্নতি তো বটেই, ফুলকপি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে।