চকলেট ডে থেকে শুরু শেষ ভ্যালেনটাইন্স ডে’তে। সারা বছর না হোক, মাত্র এই সাতটা দিন সকলেই যে যার প্রিয়জনকে একটু সময় দিতে পছন্দ করে। খোলামেলা কোথাও থেকে ঘুরে আসার প্ল্যান করে প্রত্যেকে। তবে তাদের জন্য পারফেক্ট জায়গা এটি। বহমান নদীর পাশে সাজানো-গোছানো একটি পার্ক, বিভিন্ন মরশুমের ফুল দিয়ে সাজানো এই পার্কটি। একদিনের ঘুরে দেখার জন্য পারফেক্ট জায়গায় এটি। শুধু তাই নয় পার্কের মধ্যেই রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে উপভোগ করতে পারেন সূর্যাস্ত। বেশ অনেকটা উঁচু থেকে লক্ষ্য করতে পারবেন দুপাশের সৌন্দর্য।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা ওড়িশা সীমানায় রয়েছে সুবর্ণরেখা নদী। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বেলুমলা এলাকায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে একটি বায়োডাইভারসিটি পার্ক। গ্রামবাসীদের উদ্যোগে প্রশাসনিক সহযোগিতায় এই পার্কটিকে সাজিয়ে তুলেছে প্রশাসন। লাগানো হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ, রয়েছে বাচ্চাদের খেলার নানা জিনিস, পিকনিকের বন্দোবস্ত। শুধু তাই নয় বেশ কয়েক হেক্টর জায়গায় জুড়ে লাগানো হয়েছে গাছ। শান্ত শীতল পরিবেশ এই পার্কে। শুধু তাই নয়, পার্কের গা ঘেঁষে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী। বিকেলে নদীর পাড়ে সূর্যাস্ত এক আলাদা অনুভূতি দেবে। পার্ক থেকে নদীর জল পর্যন্ত বিস্তীর্ণ বালুচর। নদীর পাড়ে প্রিয়জনের সঙ্গে হাতে হাত রেখে সময় কাটাতে পারবেন বেশ কিছুক্ষণ, সুখ দুঃখের কথা বলতে পারবেন একাকী। এছাড়াও পার্কটি ঘুরে দেখলে মন ভাল হয়ে যাবে আপনার।
তাই যারা ভ্যালেনটাইন্স সপ্তাহ নিজেদের প্রিয়জনদের সঙ্গে পালন করতে চান তারা অবশ্যই ঘুরে দেখুন এই জায়গা। সারা বছর এই সৌন্দর্য থাকে এখানে। যেকোনও সময় পরিবারকে নিয়েও ঘুরে আসা যাবে। কলকাতা থেকে খুব কাছেই এই জায়গা। ট্রেন কিংবা বাসে আসা অত্যন্ত সহজলভ্য। ট্রেনে এলে আপনাকে নামতে হবে দাঁতন স্টেশনে, সেখান থেকে ছোট গাড়িতে বা টোটোতে আসা যাবে এই পার্কে। অন্যদিকে একইভাবে ভাসে এলে নামতে হবে দাঁতন বাসস্ট্যান্ডে সেখান থেকে টোটো বা অটোতে আসা যাবে এখানে। অথবা পার্সোনাল গাড়িতেও পৌঁছতে পারবেন এই বেলমুলা পার্কে।
রঞ্জন চন্দ