আপনি যদি নতুন কেক করিয়ে হন, তাহলে গোড়া থেকেই স্ট্যান্ডার্ড কোনও রেসিপি অনুসরণ করুন৷ আগের মতো কুক বুক দেখার প্রয়োজন নেই৷ ইউটিউবে হাজির অসংখ্য রেসিপি৷
ময়দা, চিনি, ডিম, ক্রিম, মাখন-কেকে যা উপকরণ দেবেন সবই যেন ঘরের তাপমাত্রায় থাকে৷ ফ্রিজ থেকে বার করেই কেক তৈরি করতে শুরু করে দেবেন না৷ আগে সব উপকরণ রুম টেম্পারেচারে আনবেন, তার পর শুরু করবেন৷
advertisement
আরও পড়ুন : শৈত্যপ্রবাহে কী করে সদ্যোজাতকে সুস্থ রাখবেন?
কেকে তৈরিতে উপকরণের মাপ গুরুত্বপূ্র্ণ৷ যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরা বিভিন্ন পেয়ালায় উপকরণ মাপলেও নতুনদের উচিত মেজারিং স্পুন ব্যবহার করা৷ তার ফলে কেকের উপকরণের মাপে গণ্ডগোল হবে না৷
কেকের জন্য সাধারণ ময়দা ব্যবহার করবেন না৷ ব্যবহার করুন কেকের জন্য নির্ধারিত বিশেষ ময়দা৷ এই ময়দা অন্যান্য উপকরণের সঙ্গে মসৃণভাবে মিশে যায়৷ কারণ এতে প্রোটিনের পরিমাণ অত্যন্ত কম৷
আরও পড়ুন : তেল-শ্যাম্পু-কন্ডিশনারের যত্নের পরও চুল সেই নির্জীব? এ বার হাঁটুন উল্টোপথে
কেকের ব্যাটার খুব বেশি মেশাবেন না৷ আবার কমও মেশাবেন না৷ উপকরণগুলি মসৃণভাবে মিশতে যত ক্ষণ সময় লাগে, তত ক্ষণই ফেটাবেন৷ ইলেকট্রিক মিক্সার বা হুইস্ক, যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, ব্যাটারের ঘনত্বর দিকে খেয়াল রাখবেন৷
যে পাত্রে কেক বেক করবেন, গুরুত্বপূ্র্ণ সেটাও৷ গভীরতা যুক্ত কোনও পাত্র ব্যবহার করবেন৷ বেকিংয়ে সব সময় ব্যবহার করুন পার্চমেন্ট পেপার৷ পাত্রের গায়ে মাখন লাগিয়ে শুধু বেকিং শুরু করবেন না৷ কেকের স্বাদ জমাতে পার্চমেন্ট পেপার গুরুত্বপূর্ণ৷
আরও পড়ুন : ঘরোয়া ক্রিসমাস পার্টিতে কীভাবে সাজাবেন টেবিল? রইল সহজেই কিস্তিমাতের টিপস
কেক যখন বেকিং শুরু করবেন, তার পর নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করুন৷ তাড়াহুড়ো করে তার আগেই বার বার পাত্র খুলে কেক দেখতে যাবেন না৷ এতে তাপমাত্রার তারতম্য হয়৷ ফলে বেকিংয়ের কাজ পণ্ড হয়৷
কেক তৈরি হয়ে গিয়েছে বুঝবেন কী করে? মিশ্রণে মধ্যে ডুবিয়ে দিন একটি টুথপিক৷ তার গায়ে মিশ্রণ যদি লেগে যায়, বুঝবেন আরও সময় দিতে হবে৷ আর টুথপিক যদি শুকনো থাকে তবে বুঝতে হবে এ বার কেক তৈরি৷
বেকিংয়ের পাত্র থেকে কেক তুলতে তাড়াহুড়ো কবেন না৷ অনেকে গরম অবস্থাতেই কেকে বার করে নেন৷ অনেকে অপেক্ষা করেন ঠান্ডা হওয়ার জন্য ৷ ঠান্ডা করে তার পর কেক তুলে নেন৷ আপনার যে ভাবে সুবিধে মনে হয়, সেটাই করুন৷