ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের যত্নের প্রয়োজনীয়তাগুলিও পরিবর্তন হয়! তাপমাত্রা কমে গেলে ত্বক নিস্তেজ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ত্বক তখন তার প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা হারিয়ে নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। খামোখা একগাদা টাকা খরচ না করে বাড়িতেই এর প্রতিকার সম্ভব।
স্ক্রাবের জন্য মধু, ওটস এবং দুধ
ওটস গুঁড়ো করে মধু ও দুধ মিশিয়ে স্ক্রাব করা যায়। এতে ত্বক তার প্রাকৃতিক তেল হারায় না এবং এটি ত্বকের জন্য একটি সুপার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসাবে কাজ করে ত্বককে নরম কোমল এবং তাজা রাখে। এটি সপ্তাহে একবার করা উচিত।
advertisement
কফি এবং চকোলেট ট্যান দূর করে
এই সুপারফুডগুলি প্রাকৃতিকভাবে ডার্ক সার্কেল হালকা করার ক্ষমতা রাখে, ইউভি রশ্মির বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে এবং ত্বককে মসৃণ করে। এর জন্য ইনস্ট্যান্ট কফি, চকোলেট পাউডার এবং কিছু দই যোগ করে প্যাক তৈরি করতে হবে।
টম্যাটো এবং গোলাপ জলের টোনার
তাজা হাইড্রেটেড অনুভূতির জন্য এটি ত্বককে টোন এবং পরিষ্কার করার সেরা উপায়গুলির মধ্যে একটি। এটি প্রস্তুত করা খুব সহজ! শুধু সমান পরিমাণে গোলাপ জল এবং তাজা টম্যাটোর রস যোগ করতে হবে। তার পর তুলো দিয়ে মুখের উপর আলতো করে ড্যাব করতে হবে। এটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। এটি ত্বক পরিষ্কার করে, তৈলাক্ততা কমায়, ত্বকের ছিদ্র টাইট করে এবং ত্বককে কোমল করে। এটি প্রতিদিন দু'বার ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন: অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই বাগে আসছে না বাড়তি ওজন, গোড়ায় গলদ নেই তো?
হাইড্রেটেড ত্বকের জন্য সাইট্রাস ফল
সমস্ত তাজা সাইট্রাস ফলের রস যেমন ম্যান্ডারিন, কমলালেবু, তরমুজ হল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এবং এগুলো সরাসরি মুখ বা ত্বকে প্রয়োগ করা যেতে পারে। এই ফলের রস সরাসরি মুখে ড্যাব করা যায়। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলা যায়।
স্বাস্থ্যকর এবং পুনরুজ্জীবিত ত্বকের জন্য পেঁপে
পেঁপে তার অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের জন্য সুপরিচিত। পেঁপে চটকে ময়েশ্চারাইজিংয়ের জন্য এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এই মাস্ক ত্বক পুনরুজ্জীবিত ও দৃঢ় করবে এবং ত্বককে নমনীয় রাখবে।