এই প্রসঙ্গে, বিখ্যাত পুষ্টিবিদ লিমা মহাজন এমন কিছু খাবারের পরামর্শ দিয়েছেন, যা প্রতিদিন খেলে কেবল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ হয় না বরং ধীরে ধীরে শরীর থেকে নির্গত হতে শুরু করে। আসুন জেনে নিই সেগুলি সম্পর্কে-
এই ৪টি জিনিস ইউরিক অ্যাসিড দূর করবে
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল
পুষ্টিবিদদের মতে, ভিটামিন সি কিডনির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যার ফলে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড নির্গত করা সহজ হয়। দিনের শুরুতে এক গ্লাস আমলকির রস দিয়ে অথবা নাস্তার সময় কমলালেবু খান। অনেক গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ভিটামিন সি সিরাম ইউরিক অ্যাসিড কমাতে পারে।
advertisement
কাঁচা পেঁপে (হালকা সেদ্ধ)
লিমা মহাজন বলেন, পেঁপেতে উপস্থিত এনজাইম ‘প্যাপেইন’ হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে, যার কারণে পিউরিন সঠিকভাবে হজম হয় এবং ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায় না। এ ছাড়া কাঁচা পেঁপে খাওয়া প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এমন পরিস্থিতিতে হালকা সেদ্ধ কাঁচা পেঁপে খেলে ইউরিক অ্যাসিডের কারণে জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন : ব্রেকফাস্টে এই ৬ খাবারের ষড়বাণ! ঝড়ের বেগে মাখন হয়ে গলে পড়বে চর্বি! ওজন কমানো নিয়ে ভাবতেই হবে না!
দারচিনি
দারচিনি শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বিপাকীয় চাপ কমাতে সাহায্য করে, যা ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির একটি কারণ। হালকা গরম জলে এক চিমটি দারুচিনি মিশিয়ে সকালে পান করুন। এটি করলে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
কালো কফি এবং সবুজ চা
পুষ্টিবিদরা বলছেন, কালো কফি এবং সবুজ চায়ে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাটেচিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এগুলো ইউরিক অ্যাসিড তৈরি করে এমন এনজাইম (জ্যান্থাইন অক্সিডেস) কমিয়ে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে দিনে ১-২ কাপ কফি বা সবুজ চা পান করুন। এটি ইউরিক অ্যাসিড দূর করতেও সাহায্য করবে।