অলৌকিক মশলা কী: অনেকেই হয় তো জানেন না, প্রতিদিন এই একটা মশলা ব্যবহার করলে সমস্ত নেতিবাচকতা কেটে যেতে পারে। বদলে আসতে পারে সুখ এবং সৌভাগ্য। এখানে হলুদের কথাই বলা হচ্ছে। এই মশলাটা ভারতীয় রান্নায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এই ঔষধি গুণও অনেক। তাই আয়ুর্বেদেও হলুদকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। অনেক হিন্দু আচার অনুষ্ঠানে হলুদকে ধার্মিক উপাদান হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। নৈবেদ্যর থালাতে অনেকেই হলুদ রাখেন। এখানে কেন জ্যোতিষীরা সমৃদ্ধি এবং অর্থ আনতে প্রতিদিনের জীবনে এই মশলাটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন সেই নিয়ে আলোচনা করা হল।
advertisement
হলুদ এবং তার মূলকে কেন পবিত্র মনে করা হয়: বিশ্বাস এবং জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞদের মতে সঠিক জায়গায় হলুদ রাখলে বাধা কেটে যায়, নেতিবাচকতা দূর হয় এবং সৌভাগ্য বয়ে আসে। বৃহস্পতি গ্রহের সঙ্গে হলুদের যোগ রয়েছে বলে মনে করা হয়। বৃহস্পতিকে শাসন করেব ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মী। তাই বিশ্বাস করা হয় যে এই মশলাটি খারাপ দৃষ্টি দূর করার ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন : ‘অ্যাপে বলা নেই দরজা খুলে ডেলিভারি পৌঁছনোর অপেক্ষা করতে হবে’, ‘শিক্ষক শিক্ষিকা’দের জন্য বিবৃতি সুদীপার
হলুদ কীভাবে সৌভাগ্য এবং অর্থ প্রাপ্তিতে সাহায্য করে: দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পেতে এবং আর্থিক সমস্যা দূর করতে একটা লাল কাপড়ে ৫টা হলুদের শিকড় বেঁধে আলমারির লকারের মতো যেখানে নগদ টাকা রাখা হয়, সেখানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। তার ঠিক এক মাস পর হলুদের শিকড়গুলো নিয়ে একটা ভাল জায়গায় মাটি খুঁড়ে পুঁতে দিতে হবে। বৃহস্পতিবার দিন এই আচারটি পালন করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া ভগবান বিষ্ণুকে সন্তুষ্ট করতে বৃহস্পতিবার ছোলার ডাল এবং বেসনের লাড্ডু তৈরি করে ব্রাহ্মণকে দান করতে হয়। এটা সুখ এবং সমৃদ্ধি নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
আরও পড়ুন : মধুমেহ রোগীদের ৭ দিনের ডায়েট প্ল্যান, চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরামর্শ পুষ্টিবিদদের
আরেকটা সহজ কৌশল হল ভগবান গণেশের প্রতিমায় হলুদের তিলক লাগানো। নিজের কপালেও একই তিলক লাগাতে হবে। বৃহস্পতিবার কোনও শুভ কাজের আগে এই আচারটি করতে হয়। এটি বাধা দূর করে এবং সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।