হাতের ১০ নখে ১০ রকম রঙের এই স্টাইল এসেছে ফ্রান্স থেকে। সেখানে মূলত প্রতিটা নখে ভিন্ন রঙ বা একটা কালার ফ্যামিলি বেছে নেওয়ার চল আছে। যেমন কেউ প্রতিটা নখের জন্য গোলাপি রঙের বিভিন্ন শেড ব্যবহার করতে পারেন। বা বেছে নিতে পারেন গ্রেডেশন পদ্ধতি। আবার হালকা রঙ থেকে ক্রমশ গাঢ় রঙের দিকে যাত্রা করা যায় বা পছন্দ মতো বেছে নেওয়া যায় টোন বা শেড।
advertisement
পোশাকের সঙ্গে মানানসই নখের রঙও চূড়ান্ত ফ্যাশনেবল। কেউ সূর্যাস্তের রঙে রাঙানো পোশাকের সঙ্গে নখে সোনা, তামা বা সোনা-তামা মেশানো রঙ কিংবা সমুদ্রের রঙ বেছে নিতে পারেন। আবার নীল রঙের কনট্রাস্টও করা যায়। স্বচ্ছ নীল দিয়ে শুরু করে মাঝারি নীল এবং অবশেষে গভীরতম নীল টোনে রাঙিয়ে তোলা যায় নখ।
আরও পড়ুন: আচমকা ওজন কমছে? সাবধান! শরীরের এই ৫ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা
নখের রঙ যেন একটা গল্প বলে চলে, উন্মোচিত করে ব্যক্তিত্বকে। যদি কেউ লাজুক হন, তাহলে হালকা রঙের শেড বেছে নিতে পারেন। আবার সাহসী হতে চাইলে বেছে নেওয়া যায় সাদা, কালো কিংবা ধূসর রঙের শেড। তবে নখের দৈর্ঘ্য এবং আকারও মাথায় রাখতে হবে। নখ ছোট রাখা সবসময় ভালো। এতে কাজেরও সুবিধা হয়। নখের জন্য রঙের শেড বাছাইয়ের আগে ত্বকের টোন মাথায় রাখা উচিত। কারন নেলপালিশের রঙ, প্যাটার্ন এবং প্রয়োগ এতটাই আকর্ষণীয় হয় যে এটা নিজের দিকে অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করার ক্ষমতা রাখে।
আরও পড়ুন: ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনুন এক মিনিটে! জেনে নিন ভেষজ টোটকা! অবাক হবেন নিজেই
নেলপলিশের সমস্যা এড়াতে হাই-এন্ড ব্র্যান্ডের নেল পেন্ট ব্যবহারের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটা এক সপ্তাহ বা তার বেশি সময় থাকে। এর উপর জেল পলিশ দিলে রঙ আরও তাজা দেখায়। জেল পেন্টের সঙ্গে একাধিক রঙের বিস্তীর্ণ ভান্ডারও উপভোগ করা যায়। ৪টি রঙের স্কিম রয়েছে, এখান থেকে পছন্দ মতো বেছে নেওয়া যায়।
মনোক্রোম্যাটিক কালার স্কিম: যখন নখে একই রঙের একাধিক শেড ব্যবহার করা হয় তখন সেটাকে মনোক্রোম্যাটিক কালার স্কিম বলে।
অ্যানালগাস কালার স্কিম: যখন রঙগুলো একে অপরের সঙ্গে সংলগ্ন থাকে তখন সেটাকে অ্যানালগাস কালার স্কিম বলে।
কমপ্লিমেন্টারি কালার স্কিম: কালার সার্কেলে একে অপরের বিপরীত রঙগুলো নিয়ে এই শেড নজর কাড়ে।
ট্রাইঅ্যাড কালার স্কিম: এখানে প্রাথমিকভাবে ৩টে রঙ ব্যবহার করা হয়। এতে একে অপরের থেকে সমান দূরত্বে থাকা রঙের প্রয়োজন হয়।