তিন বছর আগে শিলিগুড়ির কাছে মহানদী নামক জায়গায় একটি ছোট ফাস্টফুড দোকান দিয়েছিলেন স্বপ্না গুরুং ও বিকাশ গুরুং। প্রথমদিকে ব্যবসা ভালই চলছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে ভাটা পড়ে। ঠিক সেই সময় দোকানের পিছনের উঁচু পাথরের পাহাড় নজরে আসে। পাহাড় কেটে কিছু করার ভাবনা থেকেই জন্ম নেয় টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
গত ডিসেম্বরে শেষ হয় নির্মাণের কাজ। নাম রাখা হয় ‘টাইটানিক’, কারণ গঠনটা অনেকটা সেই ঐতিহাসিক জাহাজের সামনের অংশের মতো। প্রকৃতি ও কল্পনার সংমিশ্রণে তৈরি এই স্থান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, সব প্ল্যাটফর্মেই উঠে আসে টাইটানিক ভিউ পয়েন্টের নাম।
পর্যটকদের ঢল নামে। শুধু শিলিগুড়ি বা আশপাশের পাহাড়ি অঞ্চল নয়, কলকাতা থেকেও অনেক পর্যটক দার্জিলিং যাওয়ার পথে থেমে পড়েন এই ভিউ পয়েন্টে। এমনই এক পর্যটক, পেশায় চিকিৎসক ডঃ ওয়াসিম আখতার জানিয়েছেন, “সারা বছর কর্মব্যস্ততায় ডুবে থাকি, তাই শান্তির খোঁজে পাহাড়ে এসেছি। পথে হঠাৎ চোখে পড়ল টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট। সোশ্যাল মিডিয়ার কথা মনে পড়তেই গাড়ি থামিয়ে দেখলাম। মন জয় করে নিয়েছে এই জায়গা।”
আজ সেই স্বপ্ন সফল। বিকাশ ও স্বপ্না বলছেন, “একদিন যেটা ছিল শুধু ভাবনা, আজ সেটা বাস্তব। পর্যটক বাড়ছে, বিক্রি বাড়ছে, আর তার চেয়েও বড় কথা, আমাদের তৈরি স্বপ্ন আজ অনেকের ভালোবাসা কুড়িয়েছে।”
টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট এখন শুধু এক ভিউ পয়েন্ট নয়, পর্যটকদের জন্য হয়ে উঠেছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ঋত্বিক ভট্টাচার্য





