পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিখ্যাত একাধিক দর্শনীয় ইতিহাস ক্ষেত্রের জন্য। তবে শুধুমাত্র এই শীতকালে ঘাটাল মহকুমার একাধিক জায়গা হয়ে ওঠে অস্থায়ী ট্যুর ডেস্টিনেশন। সারা বছর ধরে এই গ্রামগুলি চর্চায় না থাকলেও শীতকালে বেশ চর্চায় উঠে আসে। গ্রামীণ বেশ কয়েকটি ঝিল, জলাশয় ভরে যায় বিভিন্ন পরিযায়ী পাখিতে। মাস দুই থাকার পর আবার নিজ গন্তব্যে চলে যায় এই পাখিরা। স্বাভাবিকভাবে অফবিট ডেস্টিনেশন এই জায়গা।
advertisement
ঘাটাল মহকুমার খড়ার-সহ একাধিক গ্রাম গুলির জলাশয় শুধুমাত্র শীতকালে আগমন হয় পরিযায়ী পাখির। যাদের দেখতে অনেকটাই হাঁসের মত। তবে হাঁসের থেকে অনেকটাই ভিন্ন, আকারে বেশ ছোট। পক্ষী বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই পাখি আসলে বালি হাঁস। সাধারণত এই হাঁস জাতীয় পাখি উড়তে পারে। এক জলাশয় থেকে অন্য জলাশয়ে উড়ে উড়ে তারা পৌঁছয়। তবে মূলত ডিসেম্বরে তারা দূর-দূরান্ত থেকে তাদের প্রিয় জায়গায় এসে জনন এবং বংশবিস্তারের পর শীতের শেষে তারা চলে যায়। স্বাভাবিকভাবে এই ক’টা মাস ছোট থেকে বড় বিভিন্ন আকৃতির এই বালি হাঁস দেখতে পাওয়া যায় ঘাটাল মহকুমার একাধিক জলাশয়ে।
প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন এখানে। গ্রামের মানুষেরা লক্ষ্য নজর রেখেছে এই পরিযায়ী পাখিগুলির। গ্রাম এবং প্রশাসনের তরফে এই পাখিগুলির যাতে কোনওর কম অসুবিধা না হয়, তার নজরদারি রাখা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে পরিচিত জায়গা বাদ দিয়ে, সারাদিন কাটান এখানে। ছোট থেকে বৃদ্ধ সকলেরই বেশ পছন্দের হবে এই ঝিলগুলো। সারাদিনের ক্লান্তি নিমিষেই দূর হয়ে যাবে গ্রামীণ পরিবেশে এই পরিযায়ী পাখির সমাবেশ দেখে।
রঞ্জন চন্দ