একঘেয়েমি কাটাতে নিঃসন্দেহে ঘুরে আসতে পারেন পাহাড়ি এই গ্রামে। বেশ মনোরম পরিবেশ। পুরনো সাজ ছেড়ে নতুন করে সেজে উঠছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। পিকনিক স্পট হিসেবেও কিন্তু একেবারে আদর্শ জায়গা। এলাকায় পর্যটকদের থাকার জন্য রয়েছে মোট ১০টি টেন্ট। চাইলে তাঁবুতে রাত কাটানোর সুবিধেও পাবেন পর্যটকরা। পাশাপাশি ছোট হোমস্টেও রয়েছে। স্থানীয় যুবকরাই ধীরে ধীরে এই পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তুলছে।কীভাবে যাবেন? মালবাজার জংশন স্টেশন থেকে এই শিকারটার গ্রামের দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার।
advertisement
এছাড়াও নিউ জলপাইগুড়ি থেকেও যে কোনও গাড়ি খুব সহজেই পৌঁছে দেবে। পর্যটকদের থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থাও রয়েছে। থাকা-খাওয়া সব মিলিয়ে জনপ্রতি খরচ পড়বে ১২০০ টাকা। এই পর্যটন কেন্দ্রটির মধ্য দিয়ে বয়ে গিয়েছে পাহাড়ি ফাগু নদীর জল, জলের স্রোত নেহাত কম নয়। পাহারি খরস্রোতা নদী এটি। ঠান্ডা পরিবেশে ঠান্ডা জলের ছোঁয়ায় পা ডুবিতে বসে থাকা যায় দীর্ঘক্ষণ। চারপাশে বড় বড় টিলা, গাছপালা দিয়ে সবুজে ঘেরা। অজানা পাখির ডাক। নদীতে ধারে অনায়াসেই পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সময় কাটাতে পারবে।
পাশেই রয়েছে দলবচান্দ গ্রাম। সেখানকার ঘিস খোলার জলের কলকলানি শব্দে মুগ্ধ হবেন পর্যটকরা। চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা । সন্ধে নামলেই নেপালী নৃত্য এবং সঙ্গীত মুখরিত হয়ে ওঠে এই গ্রাম।এক্কেবারে সামনে থেকে জানার সুযোগ মিলবে নেপালি সংস্কৃতিকে। তবে, শুধুই গরুবাথান বা দলবদান্দ গ্রাম নয় এখানে থাকলে ঘুরে আসতে পারেন আশেপাশের বেশ কিছু টুরিস্ট স্পটও। ঝান্ডি, লাভা, লোলেগাঁও এখান থেকে খুবই কাছে। ওদলাবাড়ি, পাথরঝোড়ার মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ এখানে আসা যাবে।
সুরজিৎ দে