বাংলাদেশ থেকে আনা কাঠামোতে তৈরি হয় প্রতিমা। কুমোর আনা হয় বাংলাদেশ থেকে। বংশ পরম্পরায় কুমোরেরা তৈরি করে আসছেন এই দুর্গা প্রতিমা।
১৯১১ সালে আলিপুরদুয়ারে চলে আসে গাঙ্গুলি পরিবার। তখন থেকে এখানেই হয়ে আসছে পুজোর আয়োজন। প্রথম পুজো শুরু হয়েছিল ১৬৬০ সালে ফরিদপুরেই। উমাচরণ গাঙ্গুলি শুরু করেছিলেন পুজো। তার পর আলিপুরদুয়ারে দিলীপ গাঙ্গুলি করেন পুজো। বর্তমানে সুব্রত গাঙ্গুলি পুজোর দায়িত্ব নিয়েছেন। এই পুজোয় দেখা যায় বিশেষ কিছু নিয়ম। পাশাপাশি, আরতি প্রতিযোগিতা এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। নবমীতে বিশেষ প্রথা মেনে পূজিত হন দেবী। গাঙ্গুলি বাড়ির সদস্যদের পক্ষ থেকে জানা যায় ১৯১১ সালে তারা যখন আলিপুরদুয়ারে আসেন, তখন বাংলাদেশ থেকে পুজোর সঙ্গে জড়িত অনেকেই এসেছিলেন।
advertisement
পুজোর আয়োজক সুব্রত গাঙ্গুলি জানান,”পুজোয় প্রতিদিন খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয়। থাকে পায়েস,লুচি।এছাড়াও মাছের একটি পদ দেবীর ভোগে দেওয়া হবেই। পুজো শুরু হয় প্রথমা থেকেই।বিদেশের পরিজনেরা চলে আসেন পঞ্চমীতে। ঐতিহ্য বজায় রেখেই করা হয় পুজো।”বাড়ির সদস্যদের কথায় পুজোর দিনগুলিতে আরতি প্রতিযোগিতা হয়। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।দশমীর বিসর্জন শেষে আয়োজিত হয় বিজয়া সম্মিলনী।