TRENDING:

Traditional Durga Puja: ডাক্তারবাড়ি থেকে দুর্গাদালান, ইতিহাসের পাতায় বসিরহাটের বসুবাড়ির গল্প

Last Updated:

বসুবাড়িরই গৌরবের প্রতীক, পাঁচ শতাব্দীরও বেশি পুরনো বনেদি দুর্গোৎসব— কলারছড়া দুর্গাপুজো

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বসিরহাট, জুলফিকার মোল্যা: ‘হাল নেই, হেঁতোল নেই, জগবন্ধু ডাক্তার!’— বাংলার এই জনপ্রিয় প্রবাদ বাক্যের আড়ালে লুকিয়ে আছেন বসিরহাটের ঐতিহ্যবাহী বসুবাড়ির সন্তান ডাক্তার জগবন্ধু বসু। একসময় তিনি একটি ব্লেডের সাহায্যেই জটিল অপারেশন ও প্রসব করাতেন। তাঁর নামেই বসুবাড়ি পরিচিত হয় ‘ডাক্তারবাড়ি’ নামে। এই বসুবাড়িরই গৌরবের প্রতীক, পাঁচ শতাব্দীরও বেশি পুরনো বনেদি দুর্গোৎসব— কলারছড়া দুর্গাপুজো।
advertisement

ইতিহাস বলছে, এই পুজোর সূচনা হয়েছিল ১৪৬০ থেকে ১৪৭০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। যশোরের রাজা প্রতাপাদিত্যের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাবা ঈশ্বরীগুপ্ত বসু এই পুজো শুরু করেন। পরবর্তীতে মাহিনগর থেকে বসু পরিবার বসিরহাটের দণ্ডিরহাটে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে ও জমিদারি গড়ে তোলে। সেই সময় থেকেই প্রথা মেনে চলে আসছে এই পুজো।

প্রথম থেকেই এই পুজোকে ‘কলারছড়া দুর্গাপুজো’ বলা হত না। প্রথা অনুযায়ী মহালয়ার আগে বাগবাজার ঘাট থেকে গঙ্গাজল আনার রীতি আজও অটুট। প্রতিপদের দিন ঘটে পূজা শুরু হয়, পঞ্চমী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রতিদিনই হয় পাঠা বলি। দেশ-বিদেশে থাকা পরিবারের সদস্যরা এই সময়ে একত্রিত হন, মিলিত হয় বসুবাড়ির নানা প্রজন্ম। ভোগ বিতরণ, পুজার্চনা আর ভক্তদের সমাগমে সরগরম হয়ে ওঠে সমগ্র দণ্ডিরহাট। ঠাকুরদালানের সামনের পুরনো বেলগাছ থেকে প্রতিবছর একটি জোড়া বেল দেবীর আরাধনায় উৎসর্গ করা হয়।

advertisement

View More

অতীতে এই পুজোকে কেন্দ্র করে জমিদারবাড়িতে বসত বিশাল মেলা, চলত কালীপুজো পর্যন্ত। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যাত্রাপালা, ভুরিভোজে জমে উঠত উৎসব। জমিদারবাবুরাও যাত্রাপালায় অংশ নিতেন। যদিও আজ আর আগের সেই জাঁকজমক নেই, তবুও প্রথা আর ঐতিহ্যের আবহ আজও বিদ্যমান। ৫০০ বছর ধরে টিকে থাকা বসুবাড়ির এই দুর্গোৎসব শুধু এক বনেদি পরিবারের গৌরব নয়, বরং সামাজিক সম্প্রীতি, ইতিহাস ও সংস্কৃতির মিলনমঞ্চ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Traditional Durga Puja: ডাক্তারবাড়ি থেকে দুর্গাদালান, ইতিহাসের পাতায় বসিরহাটের বসুবাড়ির গল্প
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল