ডাকে সাজে সাজিয়ে তোলা হয় মাকে। নিবেদন করা হয় বিশেষ ভোগ। এই ১৫ দিন লুচি, বাড়িতে তৈরি করে চাঁছির মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যা আরতির সময় দুধ, কলা সহযোগে ভোগ দেওয়া হয়। সপ্তমী ও নবমীতে অন্নের ভোগ দেওয়া হয় সঙ্গে ডাল, সবজি, চাটনি। অষ্টমীতে কোনও অন্নের ভোগ হয় না। সেদিন মা দুর্গাকে লুচি, মিষ্টান্ন দেওয়া হয়। দশমীতে চিঁড়ে, দই, ১০ রকমের মিষ্টি সহযোগে খই, কলা দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়।
advertisement
বিপদতারণ চট্টোপাধ্যায় বলেন ” ২১ বছর বয়স থেকে আমি এই মন্দিরের নিত্য পুজারী। আগে গ্রামে এই একটি পুজোই ছিল। তাই এই পুজো আদি পুজো নামে পরিচিত।” আসানসোল গারুই গ্রামের চট্টোপাধ্যায় ও মুখোপাধ্যায় বাড়ির যৌথ উদ্যোগে আদি পুজো হয়ে আসছে। আজ থেকে প্রায় পাঁচশো বছর আগে গ্রামের চট্টবাঁধ নামে একটি পুকুর থেকে অষ্ট ধাতুর সিংহবাহিনী মূর্তি পান বাড়ির সদস্যরা। তখন থেকেই বংশপরম্পরায় এই পুজো হয়ে আসছে। নবপত্রিকা নিয়ে আসা হয় পালকিতে করে।
১৫ দিন আগে থেকেই রীতি মেনে সকালে ও সন্ধ্যায় পঞ্চব্যঞ্জন ভোগ নিবেদন করা হয় আসানসোলের গারুই গ্রামের চট্টোপাধ্যায় ও মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোয়।