বর্তমানে তা অতীত। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কামান দাগা কয়েক দশক আগেই বন্ধ হয়েছে। এমনকি দে বাড়ির সেই বিশালাকার ঘণ্টাও আর নেই। কমেছে পুজোর জাঁকজমকও। কিন্তু বংশ পরম্পরায় চলে আসা ঐতিহ্য আজও মেনে চলেন বাড়ির সদস্যরা। বেশিরভাগ জায়গায় দুর্গা পূজার সময় দেবী দশভূজা রূপে পূজিত হলেও, তিনশো বছরের প্রাচীন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের ‘দে বাড়ি’তে দেবী পূজিত হন হরগৌরী রূপে। এই পুজোয় গনেশ,কার্তিকের বাহন থাকলেও লক্ষী ও সরস্বতীর কোনও বাহন থাকে না। দেবী এখানে দশভূজা নন, দ্বিভূজা। নেই মহিষাসুরও।
advertisement
বড়শুলের জমিদার বাড়ির জমিদার তখন যাদবচন্দ্র দে। প্রথমে তিনি ঘটে পুজো শুরু করেন। জমিদার গৌরপ্রসাদ দে-এর আমল থেকে মূর্তিপুজো শুরু হয়। পরিবারের সদস্য দেব কুমার দে জানান, সপ্তমীতে গোটা ছাঁচিকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। অষ্টমীতে হয় ছাগবলি। নবমীতে তিনটে ছাঁচিকুমড়ো, চারটি শসা, বাতাবি লেবু ও মূলো-সহ তিনটি আখ বলি দেওয়া হয়। তবে বলি দেওয়া কোনও জিনিসই এই পরিবারের কেউ খেতে পারেন না। দশমীর দিনে দেবীকে বাঁশের সাং বেঁধে কাঁধে করে গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়।