TRENDING:

Traditional Durga Puja: হরগৌরী রূপে পূজিত দুর্গা, ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য আজও অটুট বর্ধমানের 'দে' পরিবারে

Last Updated:

প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো রীতি আজও বজায় রেখেছেন 'দে' বাড়ির সদস্যরা। প্রতিবছর দশমীতে কাহাররা আসেন 'দে' বাড়িতে। তাদের কাঁধে চড়েই কৈলাশে পাড়ি দেন হরগৌরী। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বড়শুল,সায়নী সরকার: প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো রীতি আজও বজায় রেখেছেন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের ‘দে বাড়ি’র সদস্যরা। প্রতিবছর দশমীতে কাহাররা আসেন ‘দে’ বাড়িতে। তাদের কাঁধে চড়েই কৈলাশে পাড়ি দেন হরগৌরী। একসময় পুজোয় জ্বলে উঠত বড় বড় ঝাড়বাতি, ঠাকুরদালানের প্রবেশ পথেই ছিল বিশাল ঘণ্টা। সর্বমঙ্গলা বাড়ির পুজোর কামানের আওয়াজ শুনে শুরু হত সন্ধি পূজায় বলিদান।
advertisement

বর্তমানে তা অতীত। সর্বমঙ্গলা মন্দিরের কামান দাগা কয়েক দশক আগেই বন্ধ হয়েছে। এমনকি দে বাড়ির সেই বিশালাকার ঘণ্টাও আর নেই। কমেছে পুজোর জাঁকজমকও। কিন্তু বংশ পরম্পরায় চলে আসা ঐতিহ্য আজও মেনে চলেন বাড়ির সদস্যরা।  বেশিরভাগ জায়গায় দুর্গা পূজার সময় দেবী দশভূজা রূপে পূজিত হলেও, তিনশো বছরের প্রাচীন পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের ‘দে বাড়ি’তে দেবী পূজিত হন হরগৌরী রূপে। এই পুজোয় গনেশ,কার্তিকের বাহন থাকলেও লক্ষী ও সরস্বতীর কোনও বাহন থাকে না। দেবী এখানে দশভূজা নন, দ্বিভূজা। নেই মহিষাসুরও।

advertisement

বড়শুলের জমিদার বাড়ির জমিদার তখন যাদবচন্দ্র দে। প্রথমে তিনি ঘটে পুজো শুরু করেন। জমিদার গৌরপ্রসাদ দে-এর আমল থেকে মূর্তিপুজো শুরু হয়। পরিবারের সদস্য দেব কুমার দে জানান, সপ্তমীতে গোটা ছাঁচিকুমড়ো বলি দেওয়া হয়। অষ্টমীতে হয় ছাগবলি। নবমীতে তিনটে ছাঁচিকুমড়ো, চারটি শসা, বাতাবি লেবু ও মূলো-সহ তিনটি আখ বলি দেওয়া হয়। তবে বলি দেওয়া কোনও জিনিসই এই পরিবারের কেউ খেতে পারেন না। দশমীর দিনে দেবীকে বাঁশের সাং বেঁধে কাঁধে করে গোটা গ্রাম ঘুরিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Traditional Durga Puja: হরগৌরী রূপে পূজিত দুর্গা, ৩০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য আজও অটুট বর্ধমানের 'দে' পরিবারে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল