ইতিহাস বলছে, প্রথম বছর স্থানীয় এক বৃদ্ধা পুজোর আচার সম্পন্ন করেছিলেন। সেই থেকে ‘বুড়িমার পুজো’ নামেই পরিচিত শিবালয়ের দুর্গোৎসব। এখানকার দেবীমূর্তি অনন্য। দেবীর দুটি হাত দৃশ্যমান, বাকি আটটি চুলের মধ্যে লুকিয়ে। দেবী এখানে সিংহবাহিনী নন, বাহন ঘোড়া। তবে সেই ঘোড়ার কেশরে সিংহের আভাস বর্তমান। পুজোর ক’দিন নিয়ম মেনে ভোগ, আরতি ও চণ্ডীপাঠ চলে। আখ, চাল, কুমড়ো ও কলা বলির দীর্ঘকালীন রীতি আজও মানা হয়।
advertisement
কায়পুত্রপাড়ার মানুষের কাঁধে করেই দেবীকে বেদিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং বিসর্জনের সময় সুতি নদীর ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, ইচ্ছা জানালে বুড়িমা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। এ’বছরও পুজো উপলক্ষ্যে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। ভিড় সামলাতে দত্তপুকুর থানার তরফে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বুড়িমার বিসর্জনের পরই দত্তপুকুরের অন্যান্য দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পথে যান। ফলে দত্তপুকুরের দূর্গা পূজার সূচনার শুরু এবং শেষ বুড়িমার পুজোকে সামনে রেখেই।
Rudra Narayan Roy