TRENDING:

Traditional Durga Puja:দেবীর বাহন এখানে ঘোড়া, দত্তপুকুরের ৩৫৫ বছরের প্রাচীন 'বুড়িমার পুজো'

Last Updated:

দেবী এখানে সিংহবাহিনী নন, বাহন ঘোড়া। তবে সেই ঘোড়ার কেশরে সিংহের আভাস বর্তমান। পুজোর ক’দিন নিয়ম মেনে ভোগ, আরতি ও চণ্ডীপাঠ চলে। আখ, চাল, কুমড়ো ও কলা বলির দীর্ঘকালীন রীতি আজও মানা হয়

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা, রুদ্র নারায়ণ রায়: জেলার প্রাচীনতম দুর্গাপুজোগুলোর মধ্যে অন্যতম দত্তপুকুরের বুড়িমার বা বুড়োমার দালানের পুজো। এ’বছর ৩৫৫ তম বর্ষে পদার্পণ করছে এই ঐতিহ্যবাহী পুজো। ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, ভক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের বংশধর শিবচন্দ্র রায়। লোককথা অনুযায়ী, সাড়ে তিনশো বছর আগে নৌকাবিহারে বেরিয়ে ঝড়জলে দত্তপুকুরে আটকে পড়েছিলেন শিবচন্দ্র রায়। সেদিন রাতে স্বপ্নাদেশ পান তিনি। দেবী দুর্গা নির্দেশ দেন, তালপাতার কুঁড়েঘরে পুজো করার। পরদিনই সেই আদেশ মেনে প্রথম দুর্গাপুজোর সূচনা হয় দত্তপুকুরে।
advertisement

ইতিহাস বলছে, প্রথম বছর স্থানীয় এক বৃদ্ধা পুজোর আচার সম্পন্ন করেছিলেন। সেই থেকে ‘বুড়িমার পুজো’ নামেই পরিচিত শিবালয়ের দুর্গোৎসব। এখানকার দেবীমূর্তি অনন্য। দেবীর  দুটি হাত দৃশ্যমান, বাকি আটটি চুলের মধ্যে লুকিয়ে। দেবী এখানে সিংহবাহিনী নন, বাহন ঘোড়া। তবে সেই ঘোড়ার কেশরে সিংহের আভাস বর্তমান। পুজোর ক’দিন নিয়ম মেনে ভোগ, আরতি ও চণ্ডীপাঠ চলে। আখ, চাল, কুমড়ো ও কলা বলির দীর্ঘকালীন রীতি আজও মানা হয়।

advertisement

কায়পুত্রপাড়ার মানুষের কাঁধে করেই দেবীকে বেদিতে প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং বিসর্জনের সময় সুতি নদীর ঘাট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, ইচ্ছা জানালে বুড়িমা কাউকে খালি হাতে ফেরান না। এ’বছরও পুজো উপলক্ষ্যে চলছে জোরকদমে প্রস্তুতি। ভিড় সামলাতে দত্তপুকুর থানার তরফে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। বুড়িমার বিসর্জনের পরই দত্তপুকুরের অন্যান্য দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের পথে যান। ফলে দত্তপুকুরের দূর্গা পূজার সূচনার শুরু এবং শেষ বুড়িমার পুজোকে সামনে রেখেই।

advertisement

Rudra Narayan Roy 

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Traditional Durga Puja:দেবীর বাহন এখানে ঘোড়া, দত্তপুকুরের ৩৫৫ বছরের প্রাচীন 'বুড়িমার পুজো'
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল