মস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল দেহের সমস্ত কার্যকলাপের সমন্বয় করা। এটি চিন্তা, বোঝা, স্মরণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে। এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাস এবং হজম প্রক্রিয়াও মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করে।
তাই বোঝা যায়, এটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ। মস্তিষ্কের কোষ (নিউরন) যদি সুস্থ থাকে, তবেই মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে। আর যদি খাদ্যাভ্যাস খারাপ হয়, তাহলে নিউরন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিছু খাবার মস্তিষ্কের জন্য সরাসরি টক্সিনের মতো কাজ করে।
advertisement
মিষ্টি পানীয়: এক মেডিকেল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোল্ড ড্রিংক, সফট ড্রিংক, এনার্জি ড্রিংক এবং মিষ্টি সোডা, যেগুলিতে অ্যাডেড সুগার মেশানো থাকে, সেগুলি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: খাবারের পর চা চুমুক দেন? সাবধান, শরীরে ভয়ঙ্কর ক্ষতি করছেন! বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জানুন…
প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed Food): প্যাকেটজাত খাবারগুলির বেশিরভাগই প্রক্রিয়াজাত। খাবারে রাসায়নিক মিশিয়ে তার গঠন বদলে ফেলা হয়। এই ধরনের খাবার মস্তিষ্কের জন্য বিষের মতো কাজ করে।
ট্রান্স ফ্যাট (Trans Fat): মার্জারিন, পেস্ট্রি এবং কিছু ভাজা খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে। এটি একটি অস্বাভাবিক ফ্যাট, যা মস্তিষ্কের কোষের স্বাভাবিক কার্যকারিতাকে নষ্ট করে দেয়।
কৃত্রিম সুইটনার (Artificial Sweeteners): জুস, ডায়েট সোডা, চকলেট, ক্যান্ডি ইত্যাদিতে ব্যবহৃত কৃত্রিম মিষ্টিকারক ব্রেনের কেমিস্ট্রিকে পরিবর্তন করে। এটি ব্রেনের স্বাভাবিক কার্যক্রমের উপর প্রভাব ফেলে।
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট (Refined Carbohydrate): হোয়াইট ব্রেড, ময়দা, সুজি, পাস্তা এবং পেস্ট্রিতে থাকা রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ব্রেন ফগ (brain fog) তৈরি করতে পারে, যা মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তিকে কমিয়ে দেয়।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল (Excessive Alcohol): অতিরিক্ত মদ্যপানে ব্রেন টিস্যু দুর্বল হয়ে যায়। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা কমে যায় এবং ব্রেন সেলের মধ্যে কমিউনিকেশন ব্যাহত হয়।
অতিরিক্ত লবণ (Excessive Salt): অনেক বেশি লবণ খেলে শুধু উচ্চ রক্তচাপ নয়, মস্তিষ্কের আর্টারিও সংকুচিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন কমে যায়। ফলে মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডাঃ রোহিত মালহোত্রা, নিউরোলজিস্ট, ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতাল, নয়াদিল্লি বলেছেন, “দীর্ঘমেয়াদে অতিরিক্ত প্রসেসড খাবার, সুগার এবং ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ মস্তিষ্কের কোষে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে, যা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই, যদি আপনি মস্তিষ্ককে দীর্ঘদিন সুস্থ রাখতে চান, তাহলে এসব খাবার এড়িয়ে চলাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।”
Disclaimer: এই খবরের মধ্যে দেওয়া ওষুধ/স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রাপ্ত। এটি সাধারণ তথ্য এবং ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনও কিছু ব্যবহার না করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নিউজ18 বাংলা কোনও ব্যবহারে ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না।