আরও পড়ুনঃ SSC শিক্ষক নিয়োগে গতি, উচ্চমাধ্যমিকে চার বিষয়ে ইন্টারভিউ শুরু! নবম-দশমের লিস্ট সপ্তাহের শেষে
ইংরেজ আমলে এলাকার মানুষের জলের চাহিদা মেটাতে কিংবা চাষের কাজের জন্য তৈরি করা হয়েছিল এই বাঁধ। এলাকার বাসিন্দা আসাদুল মণ্ডল বলেন, “১৯৪২ সালে ইংরেজদের আমলে তৈরি হয়েছিল এই বাঁধ যা সাহেব বাঁধ বলেই পরিচিত।” এক সময় এই বাঁধের ওপর নির্ভর করত এলাকার মানুষজন। তবে আজ বদলেছে পরিস্থিতি। এখন মানুষ এখানে আসে এক টুকরো শান্তির খোঁজে। পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার মেদিনীপুর সদর থেকে খুব বেশি দূর নয়, আর তাই শীত নামতেই এই জায়গাটি হয়ে ওঠে ভ্রমণপিপাসু মানুষের সবচেয়ে প্রিয় ঠিকানা। চারদিকে শাল সেগুনের গভীর সবুজ জঙ্গল রয়েছে।
advertisement
মাঝখানে নরম রোদের নিচে চুপটি করে থাকা বিশাল ফাঁকা মাঠ। আর তারই একপাশে শান্ত, স্থির, নীলাভ জলের অপূর্ব দৃশ্য সব মিলিয়ে মন যেন অজান্তেই বিভোর হয়ে আসে। প্রকৃতি আর মানুষের মিলেমিশে এক উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয় যা শুধু দেখার নয়, অনুভব করার মত। শীতের ছুটিতে পরিবার নিয়ে কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জায়গা খুঁজলে সাহেব বাঁধ যেন প্রথম সারিতেই উঠে আসে।
ইতিহাস যাই হোক না কেন, সাহেব বাঁধের সাহেবিয়ানা আজও অনুভব করা যায় গড়বেতার জঙ্গলে ঘেরা এই জলাশয়ে।সারা বছর এই বাঁধের জল স্থানীয়রা চাষের কাজে লাগান । আর শীত এলে বনভোজনের সেরা ঠিকানায় পরিণত হয় এই জায়গাটি।





