জীবাণু ভর্তি আঠালো স্তর, যা দাঁতের উপর পড়ে, তাকে বলা হয় প্লেক৷ একাধিক পানীয় ও খাবারের ফলে দাঁতে প্লেকের আস্তরন পড়তে পারে৷ দীর্ঘদিন প্লেক থাকার ফলে দাঁতের ক্ষতি হয়৷ শর্করা জাতীয় খাবার খেলে দাঁতের উপর প্লেক তৈরি হয়৷ তা ছাড়া মিষ্টিপ্রধান খাবার অ্যাসিড তৈরি করে৷ তা জেরেও দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ শেষ পর্যন্ত দাঁতে ক্যাভিটি দেখা দেয়৷
advertisement
আরও পড়ুন : সুস্থ থাকতে হেমন্ত-শীত জুড়ে ডায়েটে প্রয়োজন ধনেপাতা
দাঁত ভাল রাখার জন্য কী কী খাবেন আগে দেখে নেওয়া যাক
যে সব খাবারে ফ্লুওরাইড আছে, সেগুলি দাঁতের জন্য উপকারী৷ চিনি ছাড়া ফলের রস যদি গুঁড়ো অবস্থায় থাকে, তাহলে সেটি জলে গুলে পান করতে পারেন৷ অবশ্যই চিনি ছাড়া পান করতে হবে৷ ডিহাইড্রেটেড স্যুপ, বাণিজ্যিকভাবে তৈরি চিকেন, সামুদ্রিক খাবার এবং দানাশস্যের গুঁড়োতে ফ্লুওরাইড থাকে৷
চিনি ছাড়া তৈরি করা গ্রিন ও ব্ল্যাক টি-তে প্লেকরোধক রাসায়নিক থাকে৷ মাংস, মাছ, চিকেন, টোফুতে থাকা ফসফরাস ও প্রোটিন দাঁত ভাল রাখে৷ ক্যালসিয়াম, প্রোটিনে ভরপুর অথচ চিনিহীন আমন্ডও দাঁতের জন্য উপকারী৷
আরও পড়ুন : ডেঙ্গু যন্ত্রণা থেকে বাতের ব্যথা উপশম, শিউলি অব্যর্থ শারীরিক নানা সমস্যায়
চুইংগাম যদি চিনিছাড়া হয়, তবেই দাঁতের জন্য উপকারী৷ চুইংগাম চিবোলে প্রচুর স্যালাইভা তৈর হয় মুখগহ্বরে৷ ফলে দাঁতে আটকে থাকা খাদ্যকণা বেরিয়ে যায়৷
সবুজ শাকসব্জিতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে৷ তা ছাড়া এগুলিতে ক্যালরিও কম৷ পাশাপাশি, সবুজ শাকসব্জিতে দাঁতের এনামেল ঠিক থাকে৷ প্রচুর পরিমাণে স্যালাইভা উৎপন্ন হয় বলে দাঁতের স্বাস্থ্যও ঠিক থাকে৷ তাই দাঁত ভাল রাখতে ডায়েটে রাখুন সবুজ শাকসব্জি৷
আরও পড়ুন : সহজে তারুণ্য ধরে রাখতে শীতে ত্বকের যত্নে চাই ক্যাস্টর অয়েল
ডায়েটে আপেল নিয়মিত থাকলে শরীরে ফাইবার ও জলের যোগান বাড়ে৷ একই কারণে দাঁতের সুগঠনের জন্যও আপেল উপকারী৷ গাজর এবং সেলেরিপাতায় আছে ফাইবার, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি৷ এই দুই উপাদানে তৈরি স্যালাড নিয়মিত খান দাঁতের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ৷