প্রতি দিন ব্যায়াম চাপ ফেলে হার্ট ও পেশির উপর
প্রতি দিন ওয়ার্ক আউট করলে মাঝে মধ্যে দু'-একদিন বিশ্রাম নেওয়া উচিত। জোর করে ব্যায়াম করলে সেটার ফল মারাত্মক হতে পারে। রোজ ব্যায়াম করলে পেশির উপর চাপ পড়ে যা বিশ্রাম না নিলে ঠিক হয় না। অতিরিক্ত ব্যায়াম হৃদপিন্ডের পেশিতেও চাপ দেয়। হৃদপিন্ডকে অতিরিক্ত চাপ দিলে হার্ট কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: শীত এবং কোভিড আবহে সুস্থতা জরুরি! এই ৩ ওষধি উপাদানে ভরসা থাক
প্রতি দিন ব্যায়াম বাধা দেয় ওজন কম করার প্রক্রিয়ায়
খুব বেশি ব্যায়াম করলে শরীর কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোন তৈরি হয়। যখন শরীরে হরমোনের মাত্রা ক্রমাগত বেশি থাকে, তখন ওজন বৃদ্ধি পায় এবং কোমরের পরিধি বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত মানসিক চাপে সব সময় ক্লান্ত লাগে এবং এতে ঘুমের চক্রও বিঘ্নিত হয়।
আরও পড়ুন: ‘সাধারণ সর্দিকাশিতেও বাচ্চার সামনে মাস্ক পরে থাকুন’, মত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞর
প্রতি দিন কতটা ব্যায়াম করা উচিত?
ওয়ার্ক আউট সেশন থেকে উপকার পেতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। একই সময়ে, ফিটনেস স্তর এবং দৈনন্দিন রুটিনের উপর নির্ভর করে ওয়ার্ক আউট এবং অবসর সময়ের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে। যদি লক্ষ্য শুধুমাত্র ফিট থাকা হয়, তাহলে সপ্তাহে ১৫০ থেকে ৩০০ মিনিট মাঝারি ব্যায়াম করা যথেষ্ট। ওয়ার্ক আউট রুটিনের স্তরের উপর নির্ভর করে ১ বা ২ দিনের জন্য বিশ্রাম নেওয়া যেতে পারে। ওয়ার্ক আউট রুটিন যদি উন্নত স্তরের এবং তীব্র হয় তবে ২ দিনের বিশ্রামের সময় প্রয়োজন, অন্যথায় ১ দিন যথেষ্ট। তবে যে দিনগুলোয় বিশ্রাম নেওয়া হচ্ছে, সেই দিনগুলোয় হাঁটাহাঁটির মতো হালকা শরীরচর্চা বজায় রাখা জরুরি।
কী ভাবে বুঝব বেশি ব্যায়াম হচ্ছে?
যখন দেখা যাবে যে প্রতি দিন ব্যায়াম করলে শরীরে ব্যথা হচ্ছে, সব কাজে দুর্বল লাগছে, এনার্জির অভাব হচ্ছে বা খিদে কমে যাচ্ছে তখন ব্যায়াম থেকে অবশ্যই বিরতি নিতে হবে।