গরম জলে স্নান নয়:
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সমস্ত মরসুমে অনেকেরই গরম জলে স্নান করার অভ্যেস রয়েছে। তবে এই মরসুমে গরম জলে স্নান করা একেবারেই উচিত নয়। এতে সব ধরনের ত্বকেরই ক্ষতি হয়। কারণ গরম জলে স্নান করলে ত্বকের জ্বালা-পোড়া ভাব আরও বেড়ে যায়, তৈল নিঃসরণও বেড়ে যায়। আর গরমে যেহেতু ধাতব জলের পাইপ আরও গরম হয়ে যায়। তাই সকালবেলায় কলের জল বালতিতে ভরে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তার পর সেই ঠান্ডা জলেই স্নান করা উচিত। এছাড়া স্নানের জলে ঠান্ডা জল অথবা বরফও যোগ করা যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: লোভে পড়লেই মুশকিল! এই গরমে কী খাবেন? কী খেলেই শরীরের দফারফা? জানুন...
নিম-জলে স্নান:
স্নানের জলে কয়েকটা নিমপাতা ফেলে স্নান করা উচিত। আরও ভালো ফল পাওয়ার জন্য কিছু নিমপাতা থেঁতো করে ফুটিয়ে নিতে হবে। তার পর তা পরিশোধন করে ছেঁকে নিয়ে একটা জারে ভরে রেখে দিতে হবে। স্নানের সময় সেই মিশ্রণ জলে মিশিয়ে স্নান করতে হবে। আসলে নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা দেহের সমস্ত জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। ফলে দেহ যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পায়। সেই সঙ্গে গ্রীষ্মের মরসুমে নিমপাতা খাওয়া উচিত। তবে এই বিষয়ে আরও একটা জিনিস মনে রাখা উচিত যে, অতিরিক্ত পরিমাণে নিমপাতা খেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়।
স্নানের পর নন-অয়েলি ময়েশ্চারাইজার:
যতই ঘাম হোক না-কেন অথবা ত্বক যতই তৈলাক্ত হোক না-কেন, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়। কারণ ত্বকে পর্যাপ্ত ময়েশ্চার না-থাকায় ত্বক অতিরিক্ত তৈল নিঃসরণ করে। যার ফলে রোমকূপ বন্ধ হয়ে যায় এবং তা থেকেই গায়ে ব্রন বেরোয়। আর ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়, তাহলে জেল-ভিত্তিক কোনও লোশন ব্যবহার করা উচিত। তাছাড়া এমন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত, যার মধ্যে উপাদান হিসেবে শিয়া বাটার, কোকো, শসা এবং অ্যালোভেরা উপস্থিত রয়েছে। কারণ এই সব উপাদান স্বাভাবিক উপায়ে ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ডাবের জল নাকি কচি তালশাঁস? গরমে কোনটা বেশি উপকারী?
সপ্তাহে একদিন এক্সফোলিয়েশন:
মৃত চামড়া দূর করতে সপ্তাহে একবার এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। আসলে মৃত ত্বক রোমকূপ বন্ধ করে দেয়। তাই মৃত ত্বক দূর না-করা হলে দেহে ব্রনর সমস্যা দেখা দেয়। এই কারণেই এক্সফোলিয়েশন অন্যতম ভালো উপায়। কারণ এক্সফোলিয়েট করা হলে ত্বক মসৃণ হয়। তবে মাথায় রাখতে হবে যে, সপ্তাহে একবারের বেশি এক্সফোলিয়েট করা উচিত নয়।
বডি প্যাকের মাধ্যমে বডি মাসাজ:
ত্বক পরিষ্কার রাখার জন্য বেসন এবং চন্দনের তৈরি বডি প্যাক দিয়ে বডি মাসাজ করতে হবে। আসলে সুগন্ধী চন্দন ত্বককে কোমল এবং ঠান্ডা করে। এই প্যাক বানানোর জন্য চন্দনবাটার সঙ্গে বেসন এবং গ্রিন-টি মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর তা ঠান্ডা করে দেহের ব্রনর উপরে লাগাতে হবে। শুকিয়ে নিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
ঢিলেঢোলা পোশাক পরা জরুরি:
গায়ে ব্রনর সমস্যা দেখা দিলে আরামদায়ক এবং ঢিলেঢোলা সুতির পোশাক পরা উচিত। আঁটোসাটো পোশাকের মধ্যে ময়লা এবং জীবাণু আটকে যায়। তাই পোশাকের বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। আর গায়ে ব্রনর সমস্যা প্রতিরোধ করতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে। তার জন্য প্রচুর পরিমাণে জলপান খেতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যেস করতে হবে। সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না-এলে অবশ্যই ত্বকরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত৷