মিডলাইফ মাদারহুড বস্তুত নারীর উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আত্ম-সচেতনতা এবং সব দিক সম্পর্কে অবহিত হয়ে তবেই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা তুলে ধরে, আধুনিক নারীর যাত্রায় এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি একটি বিস্তৃত পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে। জীবনের প্রথম দিকে এখন কেরিয়ারের আকাঙ্ক্ষা প্রাধান্য পাওয়ার ফলে অনেক মহিলা এখন ব্যক্তিগত এবং পেশাদার স্থিতিশীলতার একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছনোর পরেই কেবল মা হওয়ার কথা ভাবেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পেটে কিলবিল করবে কৃর্মি, হবে বমি-ডায়রিয়া…! বর্ষায় এই ৪ সবজিতে লুকিয়ে থাকে ‘মৃত্যুর বীজ’
তবে, এই পথটি অল্প হলেও জটিল। কেন না, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উর্বরতা স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেতে শুরু করে, যা গর্ভধারণকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। অনেক মিডলাইফ মা IVF, এগ ডোনেশন বা সারোগেসির মতো সহায়ক প্রজনন প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছেন। এই চিকিৎসাগুলো মাতৃত্বের আশার পাশাপাশি শারীরিক, মানসিক এবং আর্থিক চাপের দিকটাও নিয়ে আসে।
Dr Bani Kumar Mitra, Founder & Chief Consultant, Abha Surgy Centre
চ্যালেঞ্জকে আরও জটিল করে তোলে ব্যস্ত কেরিয়ার এবং ধারাবাহিক চিকিৎসার রুটিনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা। বিশেষ করে যাঁরা চাকরিতে নেতৃত্বের ভূমিকায় থাকেন এবং একটু বেশিই দায়িত্বের অবস্থানে থাকেন, তখন ঘন ঘন ক্লিনিকে যাওয়া, হরমোন থেরাপি এবং ফার্টিলিটি ট্রিটমেন্ট নিঃসন্দেহে একটি কঠিন কাজ হয়ে ওঠে।
মহিলাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গর্ভাবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলোও স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পায়। মধ্যবয়সী গর্ভাবস্থা প্রায়শই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, প্রিক্ল্যাম্পসিয়া এবং ক্রোমোসোমাল অস্বাভাবিকতার মতো জটিলতার ঝুঁকি নিয়ে আসে। এই চিকিৎসা সংক্রান্ত উদ্বেগগুলোর জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ, যথাসময়ে হস্তক্ষেপ এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম, সুষম পুষ্টি এবং শক্তিশালী মানসিক সুস্থতার উপর ভিত্তি করে নির্মিত জীবনযাত্রার প্রয়োজন।
যাই হোক, চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও মধ্যবয়সে দিকে মাতৃত্ব বেছে নেওয়া কোনও আপোস নয়, এটি একটি সচেতন এবং গভীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। চল্লিশের দশকে মাতৃত্ব গ্রহণকারী অনেক মহিলা এটিকে তাঁদের জীবনের সবচেয়ে ফলপ্রসূ অভিজ্ঞতাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বর্ণনা করেন। তাঁরা প্রায়শই আবেগগতভাবে প্রস্তুত থাকেন, আর্থিকভাবে স্থিতিশীল এবং মানসিকভাবে সন্তান লালন-পালনের জন্য প্রস্তুত বোধ করেন।
মধ্যবয়সী মাতৃত্ব শেষ পর্যন্ত তাই স্থিতিস্থাপকতা, আশা এবং অটল দৃঢ়তার একটি শক্তিশালী প্রতিফলন। এটি এমন একটি যাত্রা যা অন্য যে কোনও পিতামাতার পথের মতোই সম্মান, তা সহানুভূতি এবং সামাজিক সমর্থনের দাবি রাখে।