পাহাড়ের ঢালে, সেলিম হিল চা-বাগানের কোলে অবস্থিত ঐতিহাসিক বাংলোটি এখন যেন অতীতের ফিসফিসানিতে বেঁচে আছে। সন্ন্যাসিনীরা শুধুমাত্র দেখিয়ে দেন যে, “এই ঘরে বসে কবি লিখতেন”।তবে দৃশ্যমান কিছু নেই, যা একজন দর্শনার্থীকে স্পষ্ট করে জানায়, এক সময় এখানে কবিগুরু বসতেন।
রবীন্দ্র জীবনীকাররা উল্লেখ করেছেন, ১৯১০ এবং ১৯১৭ সালে কবি এখানে এসেছিলেন প্রমথ চৌধুরীর দাদা আশুতোষ চৌধুরীর আতিথ্য গ্রহণ করে। সেখান থেকেই তিনি এক চিঠিতে লেখেন—”ইহা দার্জিলিংয়ের নীচে ৩০০০ ফুট উচ্চতায় একটি শান্ত পাহাড়ি এলাকা… সারাদিন বারান্দায় বসিয়া মেঘ-বৃষ্টি-রৌদ্রের লীলা দেখিতেছি”।
advertisement
আরও পড়ুন : বাংলার প্রাচীন গৌড়ে সুলতানি আমলের সরাইখানার আজ মলিন মিনার, সাক্ষী বহু ইতিহাসের
রবীন্দ্র প্রেমীরা তাই আজ ক্ষুব্ধ, উদ্বিগ্ন এবং সক্রিয়। তাঁদের দাবি, মিশনারিজ অফ চ্যারিটিজকে অন্যত্র স্থানান্তর করে ঐ ভবনটি সরকারি উদ্যোগে রবীন্দ্র গবেষণাগারে রূপান্তর করা হোক। তাঁরা চান, এই জায়গাটি ইতিহাসের পাতায় আবারও নিজের জায়গা পাক, সংরক্ষিত হোক এক অমূল্য সাহিত্য-ঐতিহ্য। রবীন্দ্রপ্রেমী ড. রতন বিশ্বাস ক্ষোভের সঙ্গে জানান, “এখন শান্তা ভবনে গেলে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতি হিসেবে কিছুই নেই। যা ছিল, সবই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”