বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থাইরয়েডের এই সমস্যা বা অনিয়ন্ত্রিত হয়ে যাওয়া বর্তমান সময়ে অনেকটাই নির্ভর করে লাইফস্টাইলের উপর। খাদ্যাভ্যাস যার মূল। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে পারলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে। ওষুধ ছাড়াও তাই নিজের ডায়েটেও পরিবর্তন আনতে হবে।
নারকেল
নারকেল থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পাশাপাশি নারকেল মেটাবলিজম ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। এই দুইয়ের জন্য সহজে ক্লান্তি আসে না এবং শরীর চাঙ্গা থাকে। নারকেল তেল হিসেবে খাওয়া যেতে পারে, নারকেলের জল এবং নারকেল রান্নায় দিয়ে অথবা কোনও ডেসার্টের আকারেও খাওয়া যেতে পারে। অনেকে নারকেলের চাটনিও বানিয়ে থাকেন।
advertisement
মুলেঠি
বহু প্রাচীন কাল থেকে মুলেঠির ব্যবহার রয়েছে আয়ুর্বেদে। রূপচর্চার বিভিন্ন জিনিস থেকে বিভিন্ন ওষুধে মুলেঠির ব্যবহার রয়েছে। এই স্পাইস থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি থাইরয়েড ক্যানসার থেকেও বাঁচায়। তাই মুলেঠি যে কোনও ভাবেই হোক যদি রোজ খাওয়া যায়, তা হলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ভালো থাকে।
মাশরুম
প্রোটিনের সঙ্গে মাশরুমে ভিটামিন ও মিনারেলস প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি শুধুমাত্র থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিনের নিঃসরণ ঠিক রাখে না, ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখে। অনেকেরই থাইরয়েড অনিয়ন্ত্রিত হলে ওজনও বাড়তে থাকে, তাদের জন্য মাশরুম ডায়েটে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন- ওজন কমানো থেকে ত্বকচর্চা! শরীরের যে কোনও সমস্যায় মুশকিল আসান হলুদ আর লেবু
হলুদ- দুধ
হলুদ রান্নায় তো সকলেই খায়, কিন্তু প্রতিদিন যদি দিনের যে কোনও সময়ে দুধের সঙ্গে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে তা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দুধ- হলুদ খাওয়াকে প্রতিদিনের অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। কারণ শুধু থাইরয়েডই নয়, এই পানীয়তে সুস্থ থাকতে পারে শরীর কারণ এটির অন্যান্য গুণও আছে।
আরও পড়ুন- সাবধান! মাথায় চলে যেতে পারে টেপওয়ার্ম, এই সব খাবারে প্রাণ নাশের আশঙ্কা রয়েছে বহু গুণে
ফ্লাক্সসিড
ফ্লাক্সসিডে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে। ফ্লাক্সসিড থাইরক্সিন নিঃসরণের পরিমাণ বাড়ায়। এতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গেই থাকে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান যা শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ভালো রাখতে সাহায্য করে, নার্ভাস সিস্টেম ঠিক রাখে। এসব ছাড়াও এই দানায় কার্বোহাইট্রেড ও প্রোটিনও প্রচুর পরিমাণে থাকে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে ফ্লাক্সসিড খেলে তা থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীর ভালো রাখে।