প্রকৃতি, পুরাণ আর তন্ত্রসাধনার মিশেলে এই দুই স্থানের প্রতিটি ইট যেন বহন করছে শতাব্দী পুরনো গল্প। অষ্টাদশ শতকের তন্ত্র সাধনার প্রতীক হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে ‘পেটকাটি মা’। স্থানীয়রা যাঁকে দেবী ধূমাবতী বা চামুণ্ডার রূপ বলে মানেন, গবেষকরা বলেন তিনি তান্ত্রিক সাধনার প্রতিচ্ছবি। সাড়ে সাত ফুট উঁচু কষ্টিপাথরের মূর্তির মাথায় সাপের মুকুট, গলায় নরমুণ্ডের মালা, পেটের উপর খোদাই করা বৃশ্চিক সব মিলিয়ে রহস্যে মোড়া এক শিল্পনিদর্শন। মূর্তির পেটের বৃশ্চিক থেকেই নাম ‘পেটকাটি মাও’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বীরভূমের সবচেয়ে বড় এবং প্রাচীন শিব মন্দির কোনটি জানেন? কোন জেলায় রয়েছে বলুন তো?
অন্যদিকে, রামসাই জঙ্গল থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত সরখৈই কালী মন্দির। ইতিহাস ঘাটলে জানা যায়, শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দির একসময় নাকি ছিল তান্ত্রিক সাধকদের আশ্রয়স্থল। আবার স্থানীয়দের কাছে কথিত কথা জানা যায়, গভীর জঙ্গলের মধ্যে দেবী স্বরূপে প্রকাশ পেয়েছিলেন মা কালী নিজে। তবে নানা রহস্য থাকলেও আজও প্রতি অমাবস্যা বা কালীপুজোয় এখানে হাজারও ভক্ত আসেন মনস্কামনা পূরণের আশায়।
আরও পড়ুনঃ শীতের সপ্তাহান্তে ঘোরার প্ল্যান? কলকাতার কাছেই ৫ অফবিট জায়গা হোক আপনার ডেস্টিনেশন, জানুন খুঁটিনাটি
গবেষকদের মতে, এই এলাকা একসময় প্রাগজ্যোতিষপুরের বাণিজ্যপথের অংশ ছিল, তাই তিব্বতের বৌদ্ধ তান্ত্রিকদের আনাগোনাও ছিল প্রবল। তাই ইতিহাস, রহস্য আর লোকবিশ্বাস মিলিয়ে পেটকাটি ও সরখৈই- দুই স্থানই উত্তরবঙ্গের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অনন্য অধ্যায়।গরুমারা সফরের শেষে যদি একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতা চান, তবে ঘুরে দেখুন এই দুই তীর্থস্থান। প্রকৃতির নীরবতায় মিশে থাকা ইতিহাসের স্পর্শ আপনাকেও ছুঁয়ে যাবে নিশ্চিত।






