উত্তম কুমার, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, শম্ভু মিত্র, অপর্ণা সেন, জহর রায়, সৌমিত্র চ্যাটার্জি, জয়া ভাদুড়ি তখনকার প্রায় সমস্ত অভিনেতা একাধিক বার গ্রামে এসেছেন। শুটিংয়ের কাজে রাতও কাটিয়েছেন অনেকে। আরও জানা যায়, মন খারাপ হলেই মহানায়ক উত্তম কুমার এই বাড়িতে ছুটে আসতেন। কৃষি প্রধান এই গ্রামে এলেই মন ভাল হত তাঁর। গ্রামের অনেকেই রয়েছেন যারা অভিনেতা অভিনেত্রীদের খুব কাছ থেকে দেখেছেন সময় কাটিয়েছেন এক সঙ্গে। তাঁরা সেই সময়ের নানা ঘটনা গল্পের মতো তুলে ধরেন নতুন প্রজন্মের কাছে। এই গ্রামকে নিয়েই তারা গর্ববোধ করেন।
advertisement
সত্যনারায়ণ খাঁ ছিলেন জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোয়ালপোতা গ্রামের মানুষ। বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁর, ছিলেন চণ্ডিমাতা ফিল্মসের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর হাত ধরেই ৭০-৮০ দশকের বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী পা রেখেছেন গ্রামে। গ্রামের মেঠো পথ সবুজক্ষেত, হাট বাজার পুকুর ও নদীর ধার এমন স্থানগুলিকেই সিনেমা অভিনয়ের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। কয়েক দশক পেরিয়েছে সময়, কালের নিয়ম বদলেছে গ্রাম। সবুজ চাষের জমি, নদী খাল বিল মেঠো পথের সে গ্রাম এখন কংক্রিটের মোড়কে। এর মাঝেই সে সময়ের ইতিহাস বহন করে চলেছে গ্রামের নানা প্রান্তর।
আজও জীর্ণ শরীরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে, চন্ডীমাতা ফিল্মসের সেই বাড়িটি। এই বাড়ির সামনে হাজির হলেই মনে করিয়ে দেয় পুরনো সেই সময়ের ছবি, বিখ্যাত সিনেমার নানা গল্প কাহিনী। শুধু গ্রামের মানুষ নয়, এই গ্রামকে নিয়ে জেলার মানুষ গর্বিত। এই গ্রামকে একবার চোখ মেলা দেখতে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ঘুরতে আসেন আজও। মানুষের হৃদয়ে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর ব্লকের গোয়ালপোতা গ্রাম।