সঠিক ত্বকের সঠিক কসমেটিকস্:
কী কসমেটিকস্ ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, কী খাবার খাওয়া হচ্ছে। কারণ আমাদের খাবারে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে, যা আসলে আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। ঠিক একই ভাবে এই কসমেটিকস্-এও এমন উপাদান থাকে, যা আমাদের ত্বকে তখন কোনও র্যাশ না-বের করলেও, পরে ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা তৈরি করে।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার ত্বকও আলো ছড়াবে তমন্নার মতো, সঙ্গে থাকলে নায়িকার ঘরোয়া ফেসপ্যাকের আশীর্বাদ
তা হলে কী করে বেছে নেওয়া যাবে ত্বকের জন্য সঠিক প্রোডাক্ট। তার জন্য ফলো করতে হবে নীচের টিপসগুলি।
উপাদানের তালিকা:
যে প্রোডাক্টটি কেনা হবে, সেটায় কী কী উপাদান আছে, তার মধ্যে কোনগুলো ত্বকের জন্য ভাল, কোনগুলো ক্ষতিকারক তার একটা তালিকা বানাতে হবে। কীসে অ্যালার্জি হতে পারে, বা হয়, সেইগুলোকেও রাখতে হবে বাদের খাতায়। এমন সংস্থার প্রোডাক্টের থেকেও দূরে থাকতে হবে, যারা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে খারাপ জিনিস বিক্রি করছে।
ক্ষতিকারক কেমিক্যাল:
প্রথমে জানতে হবে, কী কী কেমিক্যাল ত্বকের জন্য খারাপ। যেমন- প্যারাবেন (paraben), পেট্রোকেমিক্যাল (petrochemicals), লিড (lead), পারদ (mercury) ইত্যাদি যে প্রোডাক্টের মধ্যে থাকবে, সেগুলো একেবারেই ব্যবহার করা উচিত নয়। তাই যে কোনও প্রোডাক্ট কেনার আগে প্যাকেটের গায়ের লেখাগুলো পড়ে সবটা আগে জেনে-বুঝে নিতে হবে।
একই প্রোডাক্টে একাধিক উপাদান:
মানুষের চোখে ধাঁধা তৈরির জন্য একটা প্রোডাক্টে বহু উপাদানই যথেষ্ট। কিন্তু তার মধ্যে থেকেও সময় নিয়ে সবটা পড়ে বুঝে তবেই সেটি ব্যবহার করতে হবে। না-হলে অত উপাদানের মধ্যে কোনটা হারিয়ে ফেললে অকারণ অ্যালার্জি বা র্যাশের মুখোমুখি পড়তে হতে পারে।
ত্বকের ধরন বুঝতে হবে:
সবার আগে বুঝতে হবে ত্বকের টাইপ কেমন। সেটা জানলেই প্রোডাক্ট বাছা সুবিধেজনক হবে। যে কোনও ত্বক বিশেষজ্ঞের কাছে গেলেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে যে, ত্বক সব সময় বদলায়। পরিবেশ, রুটিন, দূষণ, ঘাম, গরম ঠান্ডা ইত্যাদির উপর ত্বকের ধরন নির্ভর করে।