কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে তা রক্তের শিরা-উপশিরায় জমা হয় এবং রক্ত চলাচলে সমস্যা করে। এ কারণে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় এবং প্রাণঘাতী পর্যন্ত হতে পারে। কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়ে গেলে তা ওষুধ ছাড়াও নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে ।
আরও পড়ুন: গরম আসতেই ত্বকে ট্যান পড়ছে? রোদে পোড়া মুখ নিমেষেই সাদা করবে এই ঘরোয়া প্যাক
advertisement
মায়োক্লিনিকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবনযাত্রায় প্রয়োজনীয় কিছু পরিবর্তন আনলে কোলেস্টেরলের সমস্যা অনেকাংশে দূর করা যায় কোলেস্টেরল দূর করতে এই সহজ নিয়মগুলি মানা যেতে পারে-
খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন- কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের রেডমিট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত।
জাঙ্ক ফুড থেকে দূরত্ব রাখুন- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে জাঙ্কফুড এড়িয়ে চলতে হবে। এ ছাড়াও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। প্রচুর দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং ফল ও শাকসবজি খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আসবে।
আরও পড়ুন: ব্রণ থেকে মুক্তি দেবে হেঁশেলের এই উপাদান! দাগমুক্ত চকচকে ত্বক পাবেন সহজেই
প্রতিদিন ব্যায়াম করুন- নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে অত্যন্ত সাহায্য করে। সপ্তাহে ৫ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে বা সপ্তাহে তিনবার ২০ মিনিটের জন্য অ্যারোবিক করলেও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
ধূমপান ত্যাগ করুন- সিগারেট খাওয়ার পরে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন দ্রুত বৃদ্ধি পায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। ধূমপান ত্যাগ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেকের বেশি কমে যায়।
ওজন কমানো- ওজন বেড়ে গেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা হতে পারে। ওজন কমিয়ে আপনি সহজেই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
অ্যালকোহল সেবন কম করুন- অ্যালকোহল পান করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। অতিরিক্ত মদ্যপান খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে। অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে অ্যালকোহল সেবন কমাতে হবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।