তেমনই একটি হল তেজপাতা (Tejpatta)। এর বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। যে কোনও রকম ভারতীয় রান্নায় ফোড়ন হিসেবে তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। সরাসরি এই পাতা খাওয়া যায় না। কিন্তু তেলের মধ্যে দিয়ে তার নির্যাসটুকু বের করে নেওয়ার পদ্ধতি বছরের পর বছর মানুষ আয়ত্ত করেছে ৷
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই যে আমরা রান্নায় ফোড়ন হিসেবে তেজপাতা ব্যবহার করি, তার কারণ কী? অধিকাংশ মানুষই বলবেন, স্বাদের জন্য। কিন্তু সত্যিই কি তেজপাতার স্বাদ সে ভাবে পাওয়া যায় ৷ খানিকটা গন্ধ, ঝাঁঝ তো নিশ্চয়ই রয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বেশি রয়েছে এর গুণাগুণ।
advertisement
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাংসে তেজপাতা দেওয়া হলে তা ট্রাইগ্লিসারাইডকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটে রূপান্তরিত করে।
সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তেজপাতার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বহু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা এবং অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে এই বিশেষ মশলা। হজমের সমস্যা, অম্বল, অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
তেজ পাতা চায়ের মতো করে খেলে অন্ত্রের সমস্যার সমাধান সম্ভব। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এক মাস তেজপাতার চা পান করলে শরীর ইনসুলিন তৈরি হতে পারে, খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে ট্রাইগ্লিসারাইড থেকে মুক্তি দিতে পারে।
আরও পড়ুন- বাস চালাতে প্রস্তুত বেসরকারি বাস মালিকরা, মিলছে না সিএনজি
কফের বিষয়ে তো ভারতীয়রা আগেই জানত। সাধারণ সর্দি, কাশির ক্ষেত্রে তেজপাতা বেশ উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি যা কফ থেকে মুক্তি দিতে পারে। একটি পাত্রে জল ফুটতে দিয়ে তাতে কয়েকটি তেজপাতা ফেলে দিতে হবে। ফুটন্ত জলের বাষ্প নাক, মুখ দিয়ে নিলে বেশ উপকার পাওয়া যাবে।
শুধু তাই নয়, যারা খিঁচুনিতে ভোগেন তাদের জন্যও উপকারী তেজপাতা। হৃদরোগের হাত থেকেও রক্ষা করতে পারে তেজপাতা। এতে কার্ডিওভাসকুলার প্রতিরক্ষামূলক যৌগ রয়েছে। ক্যাফেইক অ্যাসিড, কোয়ারসেটিন, ইগনোল এবং বারটোলিনাইডের মতো অ্যাসিড সমৃদ্ধ তেজপাতা শরীরে ক্যান্সার কোষ গঠনেও বাধা দেয়।
এটি অনিদ্রা এবং উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করে। এক কাপ তেজ পাতা সেদ্ধ জল দিনে দু’বার পান করলে কিডনির পাথর নিরাময় সম্ভব বলে মনে করা হয়।
তবে সমস্ত রকম সমস্যায় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।