বাজারের এক ক্রেতা স্নেহাশিস ঘোষ জানান, “বর্তমানে দামে কম কিন্তু সাইজে বড় টেডি সকলের পছন্দের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।” বাজারের এক টেডি বিক্রেতা দেবাশিস বণিক জানান, “নরম তুলতুলে টেডিকে জড়িয়ে ধরলে আপনি স্মৃতিচারণ করতে পারবেন। যিনি উপহার দিয়েছেন তাঁর কথা আপনার মনে পড়বেই। ফুলের মতো টেডি তো আর শুকিয়ে যায় না। বরং স্মৃতি হয়ে থেকে যায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত। সেই সঙ্গে ধরা থাকে সুখের সেইসব মুহূর্ত গুলিও।
advertisement
এক ক্রেতা জানান রাজু দাস জানান, “ভালবাসার রং লাল। আর তাই লাল রঙের টেডি হল ভালবাসার অন্যতম বহিঃপ্রকাশ। গোলাপি রঙের সঙ্গে সর্বদাই জুড়ে থাকে মিষ্টি মুহূর্ত। আর তাই কোনও অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ হয় এই রঙের টেডিতে। আর কমলা টেডি দেওয়ার অর্থ হল শীঘ্রই আসতে চলেছে প্রেমের প্রস্তাব। তবে টেডি অন্যান্য গিফটের মতো নষ্ট হয় না। থাকে অনেক দিন পর্যন্ত।”
আরও পড়ুন : ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে তারাপীঠ মন্দিরে বিয়ে করতে চান? জানুন দরকারি নিয়ম
কিন্তু, এই টেডি বেয়ারের মধ্যে অন্য একটি বার্তাও কিন্তু লুকিয়ে রয়েছে। তা হল পশুহত্যা বন্ধ করা। ১৯০২ সালে নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট। কিন্তু সেদিন তিনি সারাদিন খুঁজেও একটা কোনও শিকার পাননি। অগ্যতা তাঁর সঙ্গীরা তাঁর মন রাখতে একটি কাল ভালুক ছানা খুঁজে এনে গাছে বেঁধে রাখেন। কিন্তু এমন ছোট্ট মিষ্টি প্রাণী দেখে সেটাকে তিনি মারতে পারেননি। এর পর থেকে যাবতীয় পশুহত্যা বন্ধ করে দেন রুজভেল্ট। তাঁর সম্মানেই পরবর্তীতে এক কার্টুনিস্ট এই ভালুকের একটি কার্টুন আঁকেন। সেই ছবি দেখে তৈরি হয় নরম তুলতুলে খেলার সঙ্গী ভালুকছানা। থিওডোর রুজভেল্টের নামের অংশ থেকে এই খেলনার নামকরণ হয় টেডি বেয়ার৷