আজব নামের এই চায়ের দোকানের মালিক হলেন বিপদতারণ সাহা। মধ্যবয়স্ক ওই ব্যক্তি নয় বছর ধরে চায়ের দোকান খুলে চা বিক্রি করছেন। জানা যায় তিনি এলাকায় প্রথম মাটির হাঁড়িতে চা বানানো শুরু করেন এবং পরে তা দেখে যে অন্যান্যরাও একই পদ্ধতিতে চা বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। তার চায়ে অবশ্য নতুন কিছু উপকরণ থাকে না। দুধ চিনি এবং চা পাতা দিয়ে চা বানিয়ে থাকেন তিনি। শুধু শীতের মরশুমে খেজুরের গুড় মিশিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু চা তৈরি করার জাদুতেই তিনি খরিদ্দারদের দিনের পর দিন আকৃষ্ট করে যাচ্ছেন। অন্যদিকে তার দোকানে চা খেতে আসা খরিদ্দাররা জানিয়েছেন, ‘চায়ের দোকানের নাম ফালতু চায়ের দোকান হলেও চা কিন্তু খেতে সেরা। তারাপীঠ রামপুরহাট থেকে বহু মানুষ তার এই চা পান করতে আসেন।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
দোকানও চলে রমরমিয়ে। দোকানের এমন আজব নাম দেখেও অনেকে তার চায়ের দোকানের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং চা খেয়ে যান।বীরভূমের বীরচন্দ্রপুর এখন তীর্থক্ষেত্র হিসেবে পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম জায়গা করে নিয়েছে ৷ তারাপীঠ ভ্রমণে এলে পর্যটকেরা অন্তত একবার হলেও ঘুরে আসেন বীরচন্দ্রপুর।
আর প্রতিদিন অজস্র মানুষের সমাগম হয় সেখানে৷ ফলে ‘ফালতু’ চায়ের দোকানটি প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে সেখানে আসা পর্যটকদের কাছে৷ তাই আপনি যদি এবার বীরভূম আসেন তাহলে অবশ্যই এই চায়ের দোকানের চায়ে চুমুক দিয়ে আসতে পারেন।
সৌভিক রায়