ওজন কমানোর সহজ উপায়:
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ হ্রাস:
যাঁরা দ্রুত ওজন কমাতে চান, তাঁদের খাদ্যতালিকা থেকে চিনি, স্টার্চ বা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে। এই রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেটের বদলে বরং ডায়েটে যোগ করতে হবে হোল গ্রেন জাতীয় খাবার। কম ক্যালোরিযুক্ত এই খাবার খেলে পেট অনেকক্ষণ ভর্তি থাকবে। রিফাইন করা কার্বোহাইড্রেটের তালিকায় রয়েছে সাদা রুটি, সাদা ভাত, চিনি, পাউরুটি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, পাস্তা, কর্ন সিরাপ ইত্যাদি।
advertisement
ডায়েটে প্রোটিন, ভাল ফ্যাট এবং শাকসবজি:
ওবেসিটি কমানোর জন্য উপোস করে থাকার প্রয়োজন নেই। ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক ফুডের বদলে ডায়েটে রাখতে হবে হাই প্রোটিন এবং ভাল ফ্যাট জাতীয় খাবার। মনে রাখা জরুরি, ওজন কমাতে গিয়ে কিন্তু স্বাস্থ্য কিংবা পেশিকে দুর্বল করে দিলে চলবে না।
আরও পড়ুন– বছরে মেলে মাত্র ১০-১২ দিন! এই ফলের ঔষধি গুণ জানলে অবাক হয়ে যাবেন
উদ্ভিজ্জ উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে মটরশুঁটি, ওটমিল, লেবুজাতীয় ফল, টোফু, সয়াবিন প্রভৃতি। দুগ্ধজাত উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার হল পনির। আর উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ আমিষ জাতীয় খাবার হল মাছ, মাংস, ডিম প্রভৃতি। এর পাশাপাশি সবুজ শাক-সবজিও পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে হবে। এছাড়া অলিভ অয়েল, অ্যাভোক্যাডো অয়েল, বাদাম এবং বীজজাতীয় খাবারের মতো স্বাস্থ্যকর ফ্যাট জাতীয় খাবার ডায়েটে রাখতে হবে।
নিয়মিত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সঞ্চালন:
ওজন কমানোর জন্য শরীরকে সব সময় সচল রাখা উচিত। এর জন্য সকাল-সন্ধ্যায় নিয়মমাফিক কমপক্ষে আধ ঘণ্টা করে হাঁটতে হবে। এ ছাড়া এরোবিক এক্সারসাইজ-সহ যে কোনও প্রকার এক্সারসাইজ করলেও দ্রুত ওজন কমে। এই তালিকায় থাকবে সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, নাচ, যোগাভ্যাস, জুম্বা নাচ ইত্যাদি। এমনকী, ভারোত্তোলনও ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে ক্যালোরি বার্ন হয়। এর পাশাপাশি একটানা বসে বেশিক্ষণ কাজ না করে মাঝেমধ্যে উঠে হাঁটাচলা করা উচিত।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন