জেলা বনদফতরের অধীনে থাকা ঝাউবন তাজপুরের সমুদ্র সৈকতকে অন্য মাত্রা দিয়েছে। জ্যোৎস্নার আলোয় তাজপুর সমুদ্র হয়ে ওঠে রূপবতী। হোটেলের ব্যালকনিতে বসে সেই রূপ দেখার অমোঘ আকর্ষণ পর্যটক ফেরাতে পারে না। আবার অন্ধকার রাতে সমুদ্রের ধারে হোটেলের ব্যালকনিতে বসে সমুদ্রের ডাক ও ঝাউবনের শোঁ শোঁ আওয়াজ পর্যটকদের হাতছানি দেয় অজানা রহস্যের।মন্দারমনি ও শংকরপুর সমুদ্র সৈকতের মাঝে অবস্থিত তাজপুর সমুদ্র সৈকত। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুক থেকে দূরত্ব মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। বাস বা ট্রেন দুটোতেই পৌঁছানো যায় তাজপুর সমুদ্র সৈকতে। মেচেদা থেকে দিঘাগামী বাসে করে বালিসাই-এ নেমে সেখান থেকে টোটো, ভ্যান এবং গাড়ি পাওয়া পাওয়া যায় তাজপুর সমুদ্র সৈকত যাওয়ার।
advertisement
অন্যদিকে দিঘা হাওড়া রেলপথের দিঘাগামী এক্সপ্রেস ও লোকাল ট্রেনে রামনগর রামনগর স্টেশনে নেমে টোটো ভ্যান রিক্সা অটো ও ছোট গাড়ি করে তাজপুর সমুদ্র সৈকত যাওয়া যায়। এছাড়াও গাড়ি বুক করে সরাসরি তাজপুর সমুদ্র সৈকতে আসা যায়।কোথাও বেড়াতে গেলে যেটা প্রথমেই মাথায় আসে কোথায় থাকব? অনেকগুলি হোটেল ও রিসোর্ট গড়ে উঠেছে তাজপুর সমুদ্র সৈকত ঘিরে।হোটেলেপ্রতিদিনের রুম ভাড়া ১০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। খাওয়া-দাওয়ার জন্য আলাদা মূল্য দিতে হবে। পর্যটকেরা চাইলে হোটেলের বাইরে খেতে পারে। আগে থেকে বুক না করলেও চলে কারণ তাজপুর সমুদ্র সৈকতে খুব একটা পর্যটকের ভিড় লক্ষ করা যায় না। ফলে এই সাধ্যমতো বাজেটে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে তাজপুরে।
আরও পড়ুন : কম খরচে শীতের ছুটি কাটান পরিযায়ী পাখিদের সঙ্গে! জেনে নিন বেড়ানোর সেই ঠিকানা
সৈকতে লাল কাঁকড়ার উন্মুক্ত বিচরণ। কংক্রিটের জঙ্গল থেকে মুক্তি দেবে নির্জন, নিবিড় ও কোলাহলমুক্ত সৈকত তাজপুর। বড়দিনের ছুটি কিংবা শীতের সময় সপ্তাহান্তের দু’দিন তাজপুর সমুদ্র সৈকত আদর্শ বেড়ানোর জায়গা।