এই হালুয়া কেবল একটি মিষ্টি নয়, বরং গাজিপুরের ঐতিহ্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এটির স্বাদ একইরকম রয়েছে, যা শহরের সিগনেচার ডিশে পরিণত হয়েছে। সবথেকে মজার ব্যাপার হল, এই হালুয়া শুধুমাত্র অক্টোবর থেকে হোলি পর্যন্ত পাওয়া যায়।
প্রয়াগ জি’স সোহন হালুয়া গাজিপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় শীতকালীন খাবার। দোকানের তৃতীয় প্রজন্মের মালিক ব্যাখ্যা করেন যে, এই মিষ্টিটি ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। এর স্বাদ, গঠন এবং সুগন্ধ সবকিছুই ঋতুর সঙ্গে মানানসই। এই হালুয়ার আসল রহস্য নিহিত আছে এর ঐতিহ্যবাহী রেসিপিতে, যেখানে খোয়া, মিহি ময়দা, চিনি এবং ডালডা ঘি ব্যবহার করা হয়। এক কেজি খোয়ার সঙ্গে মাত্র ১০০ গ্রাম ময়দা মেশানো হয়। শীতকালে ঘি শক্ত হয়ে যায়, যা হালুয়াকে একটি স্বতন্ত্র কোমলতা এবং ক্রিমি স্বাদ দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘুরে আসুন বিদ্যাং! প্রকৃতির কোলে অফবিট পাহাড়ি স্বর্গ, গেলে ফিরতে ইচ্ছে করবে না…
গ্রীষ্মে কেন এই হালুয়া তৈরি করা হয় না
দোকানের মালিক ব্যাখ্যা করেন যে, ঠাণ্ডা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘি গলে যেতে শুরু করে এবং হালুয়া তার আসল গঠন হারায়। গরমে এটি শুষ্ক এবং স্বাদহীন হয়ে যায়। অতএব, এই মিষ্টিটি কেবল শীতের মাসগুলিতেই তৈরি করা হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সোহন হালুয়া দোকান থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় এবং বছরব্যাপী অপেক্ষা শুরু হয়।
লোকেরা এটি কিনতে লাইনে দাঁড়ায়
এই হালুয়া শুধুমাত্র গাজিপুরের প্রয়াগ জি’স দোকানে পাওয়া যায়। সীমিত স্টক, বিশুদ্ধতা এবং ঐতিহ্যবাহী স্বাদ এটিকে আরও বিশেষ করে তোলে। ডিসেম্বর এবং জানুয়ারির ঠাণ্ডা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানের বাইরে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন তৈরি হয়। অনেকে বছরের পর বছর ধরে এই হালুয়াটির জন্য অপেক্ষা করেন।
আরও পড়ুন: পারিশ্রমিক মাসিক ৪০,০০০ টাকা, সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে নিয়োগ! কারা আবেদন করতে পারবেন?
শুধু হালুয়া নয়, ঐতিহ্যের স্বাদ
প্রয়াগ জি’স কেবল তার সোহন হালুয়া নয়, বরং তাদের গোলাপ ছড়ি মিষ্টি এবং গুলাব জামুনের জন্যও বিখ্যাত। কয়েক দশক ধরে দোকানটি তার স্বাদ, ঐতিহ্য এবং গুণমান বজায় রেখেছে। এটি কেবল একটি মিষ্টির দোকান নয়, বরং গাজিপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ হয়ে উঠেছে।
