পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Pennsylvania) গবেষণা দলের ফার্স্ট অথার উইমিন লিউ (Weimin Liu) ও সিনিয়র অথার বিয়াত্রিচে হানের (Beatrice Hahn) নেতৃত্বে একটি সার্ভে করা হয়। মোট ৭২ জনের আরটি-পিসিআর (RT-PCR) টেস্টের পজিটিভ রিপোর্ট নিয়ে কাজ করা হয়। এঁদের মধ্যে মাত্র ২ জন ছাড়া, ১৩ (১৮%) জনের হালকা উপসর্গ, ৪৮ (৬৭%) জনের মাঝারি উপসর্গ ও ৯ (১২%) জনের গুরুতর উপসর্গ ছিল।
advertisement
আরও পড়ুন- এই ৫টি খাবার দ্বিতীয় বার গরম করে খাচ্ছেন? শরীরে ভয়ঙ্কর রোগের জায়গা করে দিচ্ছেন
৭২ জনের মধ্যে মাত্র ৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস স্পাইক প্রোটিনের বিরুদ্ধে লড়াই করার অ্যান্টিবডি মজুত থাকলেও ২৬ (৩৬%) জনের রক্তে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। দেখা গিয়েছে রিসেপ্টর-বাইন্ডিং ডোমেইন (Receptor-binding Domain) ও নিউক্লিওক্যাপসিডের (Nucleocapsid) বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। গবেষকরা দেখেছেন, যাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি তাঁরা বেশিরভাগই অল্পবয়সী।
শুধুমাত্র ৭২ জনের মধ্যে করা গবেষণায় সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব নয়। তাই, এমন আরও গবেষণা করা হয়েছিল যেখানও একই অসুবিধা দেখা গিয়েছে। ইক্লিনিক্যাল মেডিসিনের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬৯৮ জনকে নিয়ে করা একটি গবেষণায় ৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই অসুবিধাগুলো লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- টাক পড়ছে? সঠিক ভাবে তেল দেওয়া হচ্ছে না বলেই অকালে চুল ঝরে যাচ্ছে না তো
ইনফেকশাস ডিজিজ জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে, বলা হয়েছে ২০ শতাংশ মানুষের মধ্যে এই অসুবিধা দেখা গিয়েছে। এই গবেষণাটি নিউ ইয়র্কের একটি গ্রুপের ওপর করা হয়েছিল। এছাড়াও, জার্মানির ক্লিনিকাল ভাইরোলজি (Clinical Virology) নামে একটি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি পেপার, যেখানে ৮৫ শতাংশ মানুষের ক্ষেত্রে করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও অ্যান্টিবডি তৈরি না হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে।
গবেষকদের মতে, অ্যান্টিবডি শরীরে না থাকলেই বড় চিন্তা তা কিন্তু নয়। অ্যান্টিবডি ছাড়াও, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকে। তবে তা বুস্ট আপ করার প্রয়োজন পড়ে। তাই কোভিড ভ্যাকসিনের প্রয়োগ অবশ্যই জরুরি হয়ে পড়ে। কারণ, করোনায় আক্রান্ত হওয়াটা খুব একটা ভালো অভিজ্ঞতা নয়। কখনও কখনও তা মারাত্মক হতে পারে।