আরও পড়ুন- বাঁদর না বাঘ? প্রথম কী দেখছেন তাই বলবে আপনার মাথার ডানদিক বেশি কাজ করে না বাম?
প্রয়োজন নেই এমন জিনিস: গ্রীষ্মকালে প্রয়োজন নেই এমন জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। জ্যাকেট, সোয়েটার, কম্বল এবং কার্পেটের মতো জিনিসগুলি অন্য কোথাও তোলা থাক যা শুধুমাত্র শীতকালেই কাজে লাগে। এতে বাড়ির ভিতরে অনেকটা জায়গা তৈরি হবে। ফলে হাওয়া খেলবে।
advertisement
রোদ থেকে দূরে: কীভাবে? প্রখর সূর্যালোক থেকে বাঁচতে জানলায় কালো উইন্ডো প্যান ইনস্টল করা যায়। এটা সম্ভব না হলে গাঢ় রঙের পর্দা লাগাতে হবে যাতে রোদ সরাসরি ঘরে প্রবেশ করতে বাধা পায়। এই সময়টা তুলো এবং লিনেনের মতো গ্রীষ্মবান্ধব উপাদান দিয়ে তৈরি পর্দা ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রাকৃতিক কাপড় বেছে নিতে হবে: সাটিন, সিল্ক এবং পলিয়েস্টারের পর্দা এবং বিছানার চাদর এই সময়টা তুলে রাখাই ভালো। বিছানায় লেপ, বালাপোশ কিংবা মোটা চাদর থাকলে সেগুলোকেও সরিয়ে ফেলতে হবে। মোট কথা বিছানা যাতে হালকা হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। তাছাড়া সিন্থেটিকের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার পরিবেশের জন্যও ভালো।
ঘরের ভিতরে আরও সবুজ: গাছপালা প্রাকৃতিক এয়ার কন্ডিশনারের কাজ করে। ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা কমায়। তাই এই সময়টা বাড়িতে টবে ছোট গাছ লাগানো যায়। এতে বায়ু চলাচলও বাড়বে। তাছাড়া গাছপালা বাতাসকেও শুদ্ধ করে। ফলে তাজা টাটকা হাওয়ায় নিঃশ্বাস নেওয়া যায়।
আরও পড়ুন- সূর্যাস্তের পরে মন্দিরে ঢুকলে জ্যান্ত মানুষ হয়ে যায় পাথর! কী রহস্য এই মন্দিরের?
টপ ফ্লোরের বাসিন্দারা: বহুতল ভবনে যে বাসিন্দারা একেবারে ওপরের তলায় (টপ ফ্লোর) থাকেন, তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি গরম হয়। সে ক্ষেত্রে শীতলীকরণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। সম্ভব হলে আরেকটি জলছাদ তৈরি কিংবা ফাঁপা ইটের (হলো ব্রিক) মাধ্যমেও গরমের প্রকোপ কামানো যেতে পারে। এ ছাড়া ছাদে বাগান করলেও তাপ সরাসরি ঘরে আসবে না।
খোলা জায়গা: বাতাস চলাচলের জন্য দক্ষিণ, পূর্ব-দক্ষিণ দিকে যতটা পারা যায় খোলা জায়গা রাখতে হবে।