TRENDING:

Success Story: বাড়ির কেয়ারটেকার থেকে সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয়, চোখের সামনে অমিতাভ বচ্চন থেকে দেব, বর্ধমানের গ্রামের ছেলের জীবন যেন সত্যিই সিনেমা

Last Updated:

সাধারাণ কেয়ারটেকার থেকে সিনেমায় সুযোগ, অভিনয় করেছেন হিন্দি, বাংলা ছবিতেই! পূর্ব বর্ধমানের পুকলুর জীবন যেন সত্যিই সিনেমা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
আউশগ্রাম, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: কেয়ারটেকার থেকে একাধিক বাংলা-হিন্দি সিনেমায় অভিনয়, বাদ যায়নি টিভি সিরিয়ালও। ভাবলেই অবাক লাগে, একজন সাধারণ কেয়ারটেকার থেকে একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। চেনেন নাকি পূর্ব বর্ধমানের এই অভিনেতাকে?
advertisement

পররিচয় শুনলে চমকে যাবেন! তিনি আসলে একটি বড় জমিদারবাড়ির কেয়ারটেকার এবং কুলপুরোহিত। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের জঙ্গলের ভিতর ছোট্ট গ্রাম কালিকাপুর। সেখানেই মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বহু বছরের পুরনো কালিকাপুর জমিদারবাড়ি। এই বাড়িতেই অসংখ্য বাংলা-হিন্দি সিনেমার শুটিং হয়েছে। এই রাজবাড়িরই দেখাশোনার দায়িত্ব সামলান গ্রামেরই ছেলে পিকলু চক্রবর্তী। সকলের কাছে তিনি শুধু ‘পিকলু দা’।

advertisement

পিকলুর বাবা ছিলেন এই জমিদারবাড়ির কুলপুরোহিত। বাবার মৃত্যুর পর এখন পিকলুই সবটা সামলান। পুরনো প্রাসাদের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে উৎসব-পুজোতেও তাঁর ভূমিকা রয়েছে। ছোট থেকেই নাটকের প্রতি ভালোবাসা ছিল পিকলুর। গ্রামের নাট্যমঞ্চে অভিনয়ও করেছেন। কিন্তু জীবনে বড় পর্দায় অভিনয়ের সুযোগ আসবে, এটা ভাবতে পারেননি কোনও দিন। বহু বছর আগে এক ভদ্রলোক কালিকাপুরে আসেন। তিনি সিরিয়ালের জন্য লোকেশন খুঁজছিলেন। মন্দির ও বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন পিকলু। তখনই কথায় কথায় ওই ব্যক্তি বলে বসেন ‘কালিকাপুরে শুটিং করব।’

advertisement

তার পরই শুরু হল সন্দীপ রায়ের বিখ্যাত সিরিয়াল ‘চিলেকোঠা’র শুটিং। সেখানেই পিকলুর প্রথম অভিনয়ের সুযোগ আসে। খুব ছোট চরিত্র, কিন্তু সেটাই ছিল তাঁর আলোকবৃত্তে আসার প্রথম পদক্ষেপ। এর পর থেকে যখনই কালিকাপুরে কোনও পরিচালক শুটিং করতে আসতেন, তখন অভিনয়ের সুযোগ পেলেন পিকলু। কখনও পুলিশ, কখনও সাধু, কখনও পুরোহিত, আবার কখনও পাড়ার মোড়ল। তাঁর অভিনয়যাত্রায় রয়েছে অসংখ্য সুপারহিট প্রজেক্ট যেমন ‘বাস্তুসাপ’, ‘বহুরূপী’, ‘মিরা’-র মতো ছবি, ‘ফেরারি মন’, ‘রানি রাসমনি’র মতো সিরিয়াল। এমনকি হিন্দিতে কাজলের ‘মা’ সিনেমার একটি গানে কাজল ও তাঁর মেয়েকে আশীর্বাদ করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। পিকলু চক্রবর্তী বলেন, ” এই সবই রাজবাড়ির মা দুর্গা এবং সাধারণ মানুষের আশীর্বাদ। আমারও আভিনয়ের সুপ্ত বাসনা ছিল, সেটা বাস্তবায়িত হয়েছে।”

advertisement

View More

শুটিং-এর সুবাদেই পিকলুর দেখা হয়েছে বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে। অমিতাভ বচ্চন, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি থেকে শুরু করে বাংলা সিনেমার দেব, মিঠুন, ভিক্টর, জিৎ, সোহম, হিরণ, আবির, শিবপ্রসাদ… কত তারকাকেই না কাছ থেকে দেখেছেন তিনি, এমনকি তাঁদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন আবার ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন। তিনি কোনওদিনই ভাবতে পারেননি, তাঁর মতো একজন সাধারণ কেয়ারটেকারের জীবনে এমন সুযোগ আসবে। পিকলু দা আরও বলেন, “এখন খুবই ভাল লাগে , অনেক বড় বড় পরিচালকের সান্নিধ্যে আমি আসতে পেরেছি। সাউথের ডিরেক্টরদের সঙ্গেও আমার পরিচয় হয়েছে। ”

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

পিকলু দার কাছে এসবই এখনও স্বপ্নের মতো মনে হয়। তিনি এখনও সেই মাটির মানুষ, যিনি প্রতিদিন রাজবাড়ির যত্ন নেন, পুজো করেন, অতিথিদের বাড়ি ঘুরিয়ে দেখান। হয়তো বড় কোনও নায়ক তিনি নন, কিন্তু তাঁর জীবনের কাহিনি যে কোনও ছবির চেয়ে কম নয়। জমিদারবাড়ির কেয়ারটেকার থেকে বাংলা-হিন্দি সিনেমার অভিনেতা, পিকলু দার জীবনটা যেন সত্যিই এক সিনেমা!

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Success Story: বাড়ির কেয়ারটেকার থেকে সিনেমায় চুটিয়ে অভিনয়, চোখের সামনে অমিতাভ বচ্চন থেকে দেব, বর্ধমানের গ্রামের ছেলের জীবন যেন সত্যিই সিনেমা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল