বিপদেও ভয়-ডর হীন:
সাধারণত ব্যক্তি আধ্যাত্মিক চিন্তায় বা স্তরে উন্নীত হলে আর কোনও কিছুতেই তিনি ভীত হন না। বরং সমস্ত রকম পরিস্থিতি ও সব রকম চরিত্রের ব্যক্তিদের হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করতে পারেন। জীবনের বিভিন্ন দিকের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জকে খোলা মনে গ্রহণ করতে পারেন। আধ্যাত্মিক মানুষরা সাধারণত জীবনের ইতিবাচক দিকের প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুন- সতর্ক হন এখনই! এই ৫ দোষেই বিঘ্ন ঘটবে দাম্পত্যসুখ, সঙ্গে বারোটা বাজবে স্বাস্থ্যেরও
পরচর্চা এড়িয়ে যাওয়া:
অন্যদের বিষয়ে খারাপ কথা বলা কিংবা অন্যদের নিয়ে পরচর্চা চালানো - এসব আসলে রুগ্ন মানসিকতার পরিচয়। যাঁরা আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গী থেকে জীবনকে দেখেন, তাঁরা মানুষের মধ্যে সর্বদাই ইতিবাচক দিক খোঁজার চেষ্টা করে যান এবং পরনিন্দা-পরচর্চায় থাকেন না।
নিত্য-নতুন জ্ঞান অর্জনে উৎসাহী হওয়া:
লক্ষ্য পূরণের জন্য জ্ঞান অর্জন এবং কাজ করার আকাঙ্ক্ষা আধ্যাত্মিক মনের অন্যতম পরিচায়ক। বিশ্বের সমস্ত ঘটনা জানার বিষয়ে এঁদের আগ্রহ থাকে, নিয়মিত জ্ঞান আহরণ এবং আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমেই এঁরা আধ্যাত্মিক পথে অগ্রসর হন। লোভ এবং হিংসা থেকে দূরে গিয়েও এঁরা নিষ্কাম জ্ঞানের চর্চা করেন।
দয়া ও ভালোবাসাকে অগ্রাধিকার দেওয়া:
আধ্যাত্মিক ব্যক্তিদের চরিত্রের প্রধান লক্ষণ হল যে, তাঁরা সর্বদা সুখী থাকার চেষ্টা করেন এবং অন্যদের প্রতি দয়ালু মনোভাব পোষণ করেন। এঁরা কখনওই মানুষকে হেয় করতে কিংবা কারওর বিষয়ে সমালোচনা করতে পছন্দ করে না। পরিবর্তে, তাঁরা সর্বদা অনুপ্রেরণাদায়ক কথাবার্তা বলেন। কেউ যদি এই একই মূল্যবোধে বিশ্বাস করেন, তাহলে সেই ব্যক্তি নিঃসন্দেহে এক জন আধ্যাত্মিক মানুষ।
মনঃসংযোগে মনোনিবেশ:
মনে ধৈর্য্য এবং শান্তির ভাব বজায় রাখতে এঁরা সর্বদা মনঃসংযোগ বা ধ্যান করে থাকেন। প্রকৃত অর্থে ধ্যান করার ক্ষমতা শুধুমাত্র সামান্য কিছু মানুষেরই থাকে। যাঁরা মানসিক শান্তির অভাব বোধ করেন, তাঁরাও নিয়মিত ধ্যানের অভ্যেসের মাধ্যমে জীবনে শান্তি ফিরে পেতে পারেন।