প্ল্যান্ট-ভিত্তিক পুষ্টি
দৈনন্দিন খাদ্যাভাস আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য সহ সামগ্রিক সুস্থতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই অত্যাবশ্যকীয় ম্যাক্রো এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সমৃদ্ধ প্ল্যান্ট ভিত্তিক খাবার দিয়ে ত্বককে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগানো উচিত। সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন কারণ এগুলি ত্বক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। ক্ষতিকারক রাসায়নিক এবং কৃত্রিম উপাদান মুক্ত পরিষ্কার খাবার ত্বককে ভিতর থেকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে৷ এই ধরনের খাবারগুলি ব্রনর মতো ত্বকের সমস্যার অন্যতম কারণ পিসিওএসের মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। তাই রোজকার খাদ্যাতালিকায় প্রচুর শাক-সবজি, হোলফুড এবং প্ল্যান্ট-ভিত্তিক পুষ্টি রাখা জরুরি৷ একই সঙ্গে ত্বকের সমস্যা, মেটাবলিক অসুখ এবং ইনসুলিন রেজিসট্যান্স ঠিক রাখতে খাবারে চিনি ও নুনের পরিমাণও কমাতে হবে৷
advertisement
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিনের জন্য সন্তানকে প্রস্তুত করবেন কী ভাবে? উপায় বলে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
ঠিকমতো ঘুম
রাতে ভালো ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। ভালো ঘুম শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অপর্যাপ্ত ঘুম কর্টিসলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷ যার ফলে শরীরে প্রদাহ হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য প্রত্যেক দিন রাতে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো খুবই গুরুত্বপুর্ণ।
মন ভালো রাখা
মানসিক চাপের সঙ্গে মহিলাদের ত্বকে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে৷ যার কারণ হিসাবে দেখা গিয়েছে যে মানসিক চাপ শরীরে অ্যাড্রিনালিন এবং কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়৷ আর শরীরের এই হরমোনগুলির মাত্রা বেড়ে গেলেই ত্বকের সমস্যা, স্থূলতা, মেজাজ পরিবর্তন এবং এমনকী হার্টের সমস্যাও হতে পারে৷ তাই প্রাথমিকভাবে মানসিক চাপ কমাতে প্রয়োজনে পেশাদারের সাহায্য নেওয়া উচিত৷ এছাড়া মন ভালো রাখতে গান শোনা, হাঁটাহাঁটি কাজে আসতে পারে।
আরও পড়ুন: ওমিক্রন আবহে সুরক্ষিত রাখতে চান আপনার সন্তানকে? ওকে দিন সহজ এই আয়ুর্বেদিক টোটকা
৩০ মিনিট এক্সারসাইজ
হরমোনজনিত সমস্যায় নিয়মিত এক্সারসাইজ করলেও ভালো কাজ হয়। বিভিন্ন গবেষণায় ধরা পড়েছে যে নিয়মিত ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ করলে বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা, ইনসুলিন রেজিসট্যান্স, মেটাবলিক সিনড্রম এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হয়। সেক্ষেত্রে নিজের পছন্দমাফিক ব্রিস্ক ওয়াক অথবা যোগাসন অথবা হাই ইনটেনসিটি ট্রেনিং করা যায়। আসল কথা হল দৈনন্দিন জীবনে শরীরচর্চাকে সঙ্গী করে নিতে হবে৷
হাইড্রেটেড থাকা
দৈনিক পর্যাপ্ত জল পান করাও জরুরি। শরীরের সমস্ত কার্যকারিতা ঠিক রাখতে এবং টক্সিন বের করতে ২-৩ লিটার জল খাওয়া উচিত৷ পানীয় জল ছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন টি অথবা মাচা টি খেতে পারি আমরা যা ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি করবে।
বুঝে প্রসাধনী ব্যবহার
ত্বকের যত্নে প্যারাবেন, ভারী ধাতু, সালফেট ইত্যাদির মতো ক্ষতিকারক রাসায়নিক নেই এমন প্রসাধনী ব্যবহার উচিত৷ এনসিবিআই-এর মতে, প্যারাবেনের মতো রাসায়নিক ইস্ট্রোজেন হরমোনে প্রভাব ফেলতে পারে। আবার ত্বক যাতে মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার স্ক্রিন থেকে নির্গত সরাসরি উজ্জ্বল ইলেকট্রনিক আলো এড়াতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে যে কোনও উজ্জ্বল কৃত্রিম আলো ত্বকে লাগলে তা থেকে বিভিন্ন হরমোনাল সমস্যা হতে পারে৷
হরমোনাল সমস্যার সমাধান বেশ কঠিন মনে হলেও তা একেবারেই নয়৷ দৈনন্দিন কিছু লাইফস্টাইল মেনে চললেই অনেক উপকার পাওয়া যায়৷ তাই ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য প্রয়োজন সঠিক লাইফস্টাইল বজায় রাখা৷
