হাঁচি : হাঁচি একসময় করোনার বিরল উপসর্গ হিসেবে বিবেচিত হত। কিন্তু বর্তমানে সেটাই সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। জো টিম বলছে, টিকা নেওয়ার পরেও যদি কোনও কারণ ছাড়াই খালি হাঁচি হয়, তাহলে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। তারা দেখেছে, হাঁচি ছাড়া অন্যান্য যে উপসর্গগুলি রিপোর্ট করা হয়েছে সেগুলো কম গুরুতর এবং দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব। তাই করোনা থেকে ১০০ শতাংশ সুরক্ষার নিশ্চয়তা না দিলেও টিকা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
হাঁচি ছাড়া অন্যান্য লক্ষণ : ভ্যাকসিনের দুটো ডোজ নেওয়ার পরেও করোনা আক্রান্তদের মধ্যে হাঁচি ছাড়া আরও চারটি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। সেগুলো হল সর্দি, গলা ব্যথা, মাথাব্যথা এবং ক্রমাগত কাশি। এই লক্ষণগুলোর মধ্যে একটাও দেখা দিলে করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি বিশ্রাম, প্রচুর পরিমাণে জল এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
আরও পড়ুন : কুমড়োর বীজ ফেলে দিতে বলেন দোকানিকে? বাজারেই ফেলে আসছেন অজস্র উপকারিতা
সংক্রমণ কেন অ্যালার্জির বেশে আসে : বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ভাইরাস নাক দিয়ে প্রবেশ করে। এখন ভ্যাকসিন ছাড়া মানুষের প্রতিরক্ষামূলক কোষ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। তাই ভাইরাসটা দেহের গভীরে প্রবেশ করতে পারে। এক্ষেত্রে ফুসফুসে জ্বর এবং মারাত্মক প্রদাহ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে ব্যক্তির ইমিউন ডিফেন্স ভাইরাসকে শনাক্ত করার জন্য প্রস্তুত থাকে এবং ভাইরাস নাকে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে আটকে দেয়। সেই কারণেই সাধারণ কোভিড লক্ষণের চেয়ে অ্যালার্জির লক্ষণ বেশি দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন : নাম ‘বেগুন’ হলেও গুণের আধার! কেন বেশি করে বেগুন খাবেন? জানুন
ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কেন করোনা সংক্রমণ হচ্ছে : করোনার সঙ্গে লড়তে টিকা নেওয়া আবশ্যক। এটা শুধু নিজেকে নয়, আশাপাশের মানুষকেও বাঁচাবে। বাজারে যে সব ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে তার সবকটাই করোনার বিরুদ্ধে লড়ার জন্য উপযুক্ত। যদিও সংক্রমণ প্রতিরোধে এটা ১০০ শতাংশ কার্যকর নয়। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম কিংবা কো-মর্বিডিটি রয়েছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও তাঁদেরই করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।