সর্পদংশন হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষ। এমনকী এমনও দেখা যায়, নির্বিষ সাপের কামড়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে গিয়েছে।
আসলে সাপ একটি নির্বিবাদী প্রাণী। তবে আত্মরক্ষার জন্য প্রকৃতি তাকে দিয়েছে দংশন ক্ষমতা। কোনও কোনও সাপের বিষ মারাত্মক। সাধারণত সাপ নিজে আতঙ্কিত না হলে কাউকে কামড়ায় না।
সাপের চেহারা দেখে চেনা যেতে পারে, সেটি কোন জাতের। তবে মানুষ এত ভয় পেয়ে যায়, যে সেদিকে তাকানোর মতো সময় থাকে না।
advertisement
কোনও ব্যক্তি সর্পদষ্ট হলে কোন সাপ তাঁকে দংশন করেছে তা জানা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ সাপ খুবই চঞ্চল প্রকৃতির। দংশন করার পর ভয়ে সেও খুব শীঘ্র ওই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যেতে চায়। তাই, নিজের নিজের কোনও চিকিৎসা করার চেষ্টা না করে সঙ্গে সঙ্গে সর্পদষ্টকে নিকটবর্তী হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।
কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রতিটি প্রজাতির সাপের দেহের গঠন আলাদা। এক প্রজাতির সাপের অন্য প্রজাতির সাপের চেয়ে ভিন্ন। তাদের মাথা থেকে লেজ পর্যন্ত একে অপরের থেকে আলাদা হয়। এমনকী এদের মলমূত্রের রঙ পর্যন্ত ভিন্ন হতে পারে।
সর্পদষ্ট হলে প্রথমেই বিচার করতে হবে সাপটি বিষাক্ত না বিষহীন! সাধারণত কোনও বিষধর দংশন করলে সে মাত্র দু’টি দাঁত ফুটিয়ে পালিয়ে যায়। ওইটুকুতেই বিষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে শরীরের ওই অংশটি কালো হয়ে যায়। কিন্তু নির্বিষ সাপ কামড়ালে তিন বা ততোধিকবার দংশন করতে পারে।
ইন্ডিয়ান কোবরা বা গোখরো, কেউটেরা প্রধান বিষধর। তিনটি রঙে এই কোবরা পাওয়া যায়। বাদামি রঙের হতে পারে, আবার গাঢ় কফি রঙেরও হতে পারে। বয়সের উপর নির্ভর করে, এই প্রজাতির সাপ ২০ ইঞ্চি থেকে ৮-৯ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। এদের লেজে ছোট কাঁটা থাকে। এতেও বিষ থাকে। ঘাড় এবং লেজের আকার প্রায় সমান্তরাল হলেও লেজের অংশ একটু পাতলা দেখায়।
সবচেয়ে বিষাক্ত সাপগুলির একটি হল ব্লাড কেজ স্নেক। এগুলি দৈর্ঘ্যে খুব ছোট— তিন থেকে চার ফুটেরও কম হতে পারে। মুখের অংশ অনেক বড় হয়ে থাকে। এরা ঘাড় থেকে লেজ পর্যন্ত কিছুটা সরু। সারা শরীরে চাকা চাকা দাগ থাকে। এই সাপ খুবই বিষাক্ত। সাদা ডোরাকাটা শরীরের আকৃতি সঙ্গে গাঢ় বাদামি রঙের হতে পারে। খুবই পাতলা আকারের হয়। কোবরার থেকে তিনগুণ বেশি বিষাক্ত হতে পারে গার্টর। চকচকে কালো শরীরে হলুদ রেখা দেখা যায়।
