কোন্নগরের শকুন্তলা কালীপুজো উপলক্ষে বসেছে মেলার আসর। রকমারি জিনিসপত্র ও নানাবিধ খাওয়া দাওয়ার সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছেন বিক্রেতারা। এরই মধ্যে বেশিরভাগ ক্রেতাদের নজর কেড়েছে এই স্মোক বিস্কুট। অনেকেই বলছেন ফায়ার পান বা স্মোক পান তারা আগে খেয়েছেন কিন্তু স্মোক বিস্কুট তারা আগে কখনও খাননি।
কীভাবে তৈরি হচ্ছে এই স্মোক বিস্কুট !
advertisement
অতি সাধারণ বিস্কুট বিশেষ উপায় অবলম্বন করে পরিবর্তিত হচ্ছে স্মোক বিস্কুটে । একটি কনটেনারে লিকুইড নাইট্রোজেন নিয়ে তার মধ্যে বিস্কুট ডুবিয়ে রেখে দেওয়া হচ্ছে। মাত্র কয়েক সেকেন্ড লিকুইড নাইট্রোজেনের মধ্যে রাখলেই বিস্কুটটি লিকুইড নাইট্রোজেনকে অভিস্রাবণ প্রক্রিয়ায় নিজের মধ্যে নিয়ে নিচ্ছে। যার ফলে বরফের থেকেও বেশি ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে সেই বিস্কুট গুলি। মুখে দিলে যে ধোঁয়া বের হচ্ছে তাও হল লিকুইড নাইট্রোজেনের ধোঁয়া।
দোকানের মালিক করণ বলেন, প্রথমে তিনি স্মোক পান বিক্রি করতেন। তবে পান অনেকেই খেতে চায় না। তাই তিনি একটি নতুন উপায় খুঁজছিলেন। তখনই তার মাথায় আসে এই স্মোক বিস্কুট বানানোর কথা। অভিনব তাঁর এই প্রচেষ্টা যে সফল হয়েছে তা নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছে করণ। সে আরো বলে, লোকজন তার কাছে স্মোক বিস্কুট খেতে এলেই ভিডিও করার ভিড় লেগে যায়।
যদিও লিকুইড নাইট্রোজেন সরাসরি মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে তার শরীরের পক্ষে কতটা ক্ষতিকারকসে নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থাকলে, করণের দাবি লিকুইড নাইট্রোজেন সরাসরি মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে কোনও রকম ক্ষতি হবে না। এর আগে সে এই পন্থা পানের জন্য ব্যাবহার করতো। তবে প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলাতে স্মোক বিস্কুট খেতে ও তার ভিডিও করার জন্য তার স্টলের বাইরে ভিড় হচ্ছে বহু মানুষের।