ব্যায়াম করতেই হবে: নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করলে তবেই মেদ কমবে। এ জন্য প্রতিদিন ব্যায়াম করতেই হবে। এটা আবশ্যক, ঐচ্ছিক নয়। প্রয়োজন ওয়েট ট্রেনিং এবং কার্ডিওভাসকুলার ওয়ার্কআউট। যেমন হাঁটা, দৌড়নো, সাইকেল চালানো, রোয়িং, সাঁতার কাটা। অ্যারোবিকসও করা যায়। এটাও শরীরের চর্বি বিশেষ করে পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - রহস্য ধারাবাহিকের চেয়েও জটিল, ৩৫ বছর বাদে দুর্গাপুজো দেখতে এসে নিখোঁজ মা ও মেয়ে
advertisement
পর্যাপ্ত ঘুম: ঘুম ভাল না হলে ওজন বাড়ে। স্থূলতা বা ওবেসিটির সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুমের সরাসরি সংযোগ রয়েছে। প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমনোর কথা বলেন চিকিৎসকরা। এটা দীর্ঘ মেয়াদে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমাতে হবে: মানসিক চাপের কারণে শরীরে একাধিক রোগ বাসা বাঁধে। শুধু রোগ নয়, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে স্ট্রেসের কারণে ওজন বাড়তেও দেখা গিয়েছে। ওজন বাড়লে কার্টিসল, স্ট্রেস হরমোন এবং খিদে বাড়ে। মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে কয়েকদিনের ছুটি নেওয়া যায়। বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে আড্ডা, ধ্যান, অ্যারোবিক এক্সারসাইজ স্ট্রেস কমানোর মহৌষধ। বই পড়া কিংবা ছবি আঁকার মতো পছন্দসই কাজ করলেও মানসিক উদ্বেগ কমে।
চিনিযুক্ত পানীয় নয়, শুধু জল: সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওজন কমাতে চিনিযুক্ত পানীয়ের বদলে শুধু জল খুব ভাল কাজ দেয়। এতে চর্বি পোড়ার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হয়।
ডায়েট মানতে হবে: চর্বি কমানোর প্রথম নিয়ম হল, নির্ধারিত ডায়েট মেনে চলা। এ জন্য পাতে রাখতে হবে তাজা ফল, শাকসবজি এবং চর্বিহীন প্রোটিন। এগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে। নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে না চললে যত ব্যায়ামই করা হোক না কেন, কোনও কাজে আসবে না। ব্যায়াম এবং ডায়েট, অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তাই প্রতিদিন প্রোটিন এবং ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে।