আসলে অজান্তে ত্বকে এমন অনেক জিনিসই লাগানো হয়, যেগুলো ব্যবহার করা মোটেও ঠিক নয়। অনেক সময় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা নির্দিষ্ট সমস্যার জন্য ক্রিম ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কিন্তু সমস্যা মিটে যাওয়ার পরেও অনেকে সেসব ব্যবহার করেন। এতেও ত্বকের ক্ষতি হয়। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা তাই দ্বর্থ্যহীন ভাষায় বলেছেন, না জেনে-শুনে মুখে কোনও ক্রিম লাগানো উচিত নয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কিছুতেই ওজন কমছে না? ফলেই লুকিয়ে বিপদ! খাওয়ার সময় 'এই' ৫ ভুল করছেন না তো?
টপিকাল স্টেরয়েড: অনেক সময় কোনও কিছু না ভেবেই অনেকে মোমেটাসোন, ফ্লুটিকাসোন, বেটামেথাসোনের মতো অনেক ক্রিম লাগান। এগুলো এতটাই ক্ষতিকর যে ত্বকে স্থায়ী কালো দাগ পর্যন্ত হতে পারে। বেশিরভাগ সময় কালো দাগ কমাতে এগুলো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু কাজ করে পুরো উল্টো। আসলে টপিকাল স্টেরয়েড থেকে দূরে থাকা উচিত। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রেসক্রাইব করলে, নির্ধারিত ডোজ নিতে হবে।
স্টেরয়েড ক্রিম: বেটনোভেট-এন-এর মতো অনেক স্টেরয়েড ক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। ফর্সা হতে কিংবা ব্রণ কমাতে এগুলো ব্যবহার করা হয়। তাৎক্ষণিক ফলও মেলে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। এই ক্রিমের নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। রক্তনালী দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। এর পাশাপাশি মুখে অত্যধিক লোম গজানোর সম্ভাবনাও থাকে। তাই প্রেসক্রিপশন ছাড়া এগুলো ব্যবহার করা উচিত নয়। না হলে ভালর বদলে খারাপ হতে পারে।
এই ক্রিম কখন ব্যবহার করা যেতে পারে: এগুলো একজিমা, ডার্মাটাইটিস, সোরিয়াসিসের মতো রোগ নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়। তবে শুধুমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শেই এই ক্রিম লাগানো উচিত। সেটাও খুব অল্প সময়ের জন্য।
কোন ক্রিম লাগানো যায়: ব্রণের সমস্যা থাকলে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, অ্যাডাপালিন, বেনজয়াইল পারক্সাইডের মতো উপাদান বেছে নেওয়া যায়। কালো দাগ কমাতে কোজিক অ্যাসিড, আরবুটিন, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, লিকোরিস এক্সট্র্যাক্ট, নিয়াসিনামাইডের মতো উপাদান কার্যকর। এর জন্য সঠিক বিউটি প্রোডাক্টের সন্ধান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরাই দিতে পারেন।(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)