ভাঙ, মারিজুয়ানা ও সিবিডির মধ্যে পার্থক্য কী?
ক্যানাবিস উদ্ভিদে আশিটিরও বেশি জৈবভাবে সক্রিয় রাসায়নিক উপাদান থাকে। যার মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল টিএইচসি ও সিবিডি। ভারতে প্রাপ্ত ক্যানাবিস ইন্ডিকাতে অতি মাত্রায় টিএইচসি থাকে এবং এটি মারিজুয়ানা তৈরির সঙ্গে যুক্ত। আবার ইউরোপে প্রাপ্ত ক্যানাবিস স্যাটিভা এল-এ বেশি মাত্রায় সিবিডি থাকে এবং এটি বস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত।
advertisement
আরও পড়ুন- শুধু নেশায় মাততে নয়, ভাঙ বা হেম্পসিড তেল ত্বকের যত্নে কীভাবে কাজে লাগে জানেন কি?
প্রসাধনী উৎপাদনে কীভাবে ব্যবহৃত হয় ভাঙের বীজ?
মূলত ক্যানাবিস স্যাটিভা এলের বীজ থেকে বের করা তেল (Hempseed Oil) প্রসাধনী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড, পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা এটিকে অত্যন্ত কার্যকরী একটি ময়েশ্চারাইজিং এজেন্ট করে তোলে।এই জন্য এটি সেরাম, ক্রিম, ম্যাসাজ তেল ইত্যাদি পণ্যে ব্যবহৃত হয়। ক্যানাবিস স্যাটিভা বীজের জল হল একটি সুগন্ধযুক্ত বাষ্পপাতিত জল যা ভাঙের বীজ থেকে নিষ্কাশিত হয় এবং চুলের পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত হয়।
ত্বকের যত্নে ভাঙের বীজের উপকারিতা
আরও পড়ুন- কপালভাতি যোগাসনে কি সত্যিই বাড়ে চুল, কমে যায় পাকা চুলের সমস্যা?
ত্বক প্রশমিত এবং আর্দ্র রাখে
এটি ত্বক আর্দ্র করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে কারণ এটি ওমেগা ৩,৬ এবং ৯ সমৃদ্ধ। এই উপাদানগুলো ত্বকের আর্দ্রতা লক করে দেয়, যাতে ত্বক তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে।
ব্রণ প্রতিরোধ করে
ভাঙের বীজের তেল (Hempseed Oil) ত্বক থেকে তেল উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্রণ-প্রবণ ত্বককে একই সময়ে আর্দ্র এবং ব্রণ মুক্ত রাখতে সাহায্য করে।
ত্বকের লালভাব কমায়
হেম্প (Hempseed Oil) ত্বক আর্দ্র রাখতে পারে এবং ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব কমাতে পারে তাই হাইড্রেটেড এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এজেন্ট হিসাবে এটি স্কিনকেয়ার পণ্যগুলিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়াও এটি রেটিনয়েডের পাশাপাশি ব্যবহার করা হচ্ছে অন্যান্য পণ্যে।